রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
স্থানীয় সময় শনিবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুর তাজ তাশি হোটেলে অবস্থানকারী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তোবগে তাঁর অবস্থানের কথা জানান।
তোবগে বলেন, তাঁর দেশ সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। এ সময় তিনি জিম্মি সংকট অবসানে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর মতে, বাংলাদেশের জনগণ এ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি বার্তা পেয়েছে, সেটি হলো সে দেশের সরকার কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেবে না।
বৈঠকে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। বাংলাদেশ সরকার সব সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে কঠোর অবস্থান নেয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, একদল বন্দুকধারী শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকার কূটনৈতিক জোনে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ২০ বিদেশি নাগরিকসহ কিছুসংখ্যক লোককে জিম্মি করে। এই জিম্মি সংকটের অবসান ঘটাতে যৌথ বাহিনী ভবনটিতে অভিযান চালায়।
বৈঠকে আবদুল হামিদ ভুটানে ব্যাপক জলবিদ্যুতের উল্লেখ করে বলেন, দেশটি বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল)-এর অধীন এ ক্ষেত্রে যৌথ পদক্ষেপ নিতে পারে।
বৈঠকে শেরিং তোবগে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে তাঁর সরকারের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে দুদেশের সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.