জয়পুরহাটের কালাইয়ে পড়াশোনা করার মাঝে মোবাইলে ফেসবুক চালানোকে কেন্দ্র করে মায়ের গালিগালাজ খেয়ে অভিমান করে নবম শ্রেণির এক ছাত্র গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার বুড়ইল গ্রামে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। থানা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়ইল গ্রামের আব্দুর রহিম ফকিরের ছেলে আব্দুর রউফ (১৬) শান্তিনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। পড়াশোনার মাঝে ওই ছেলেটি অনবরত মোবাইল ফোনে ফেসবুক চালাতো তা কম-বেশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠী থেকে শুরু করে পবিবারের সবাই জানেন। ওই বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা-মা রউফকে ফেসবুক না চালানোর জন্য নিষেধ করেন এবং পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দেয়ার তাগিদ দেন। তা সত্ত্বেও ওই ছেলেটি গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পড়ার টেবিলে বসে মোবাইলে ফেসবুক চালাতে থাকে। এরই মাঝে রউফের মা ছেলের ঘরে প্রবেশ করে ফেসবুক চালানো দেখে ছেলেকে গালিগালাজ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। যে যার মতো করে ওই রাতে শোবার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। কিন্তু রউফ ওই সময় মায়ের গালিগালাজের কোনো প্রতিবাদ না করলেও তার ওপর অভিমান করে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরের দিন বুধবার সকালে রউফের মা ছেলেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার ডাক দিলে তার কোনো জবাব না পাওয়ায় ঘরের দিকে গিয়ে জানালা দিয়ে তার ছেলেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে এসে রউফকে ঝুলন্ত দেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে কালাই থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ওই ছাত্রের লাশ থানায় নিয়ে আসে। বাবা আব্দুর রহিম ফকির বলেন, আমার ছেলে রউফ পড়াশোনা ফাঁকি দিয়ে সব সময় ফেসবুক চালাতো। তাই ওর মা গত রাতে একটু গালিগালাজ করেছে। অভিমান করে সে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কালাই থানার ওসি তদন্ত বিশ্বজিৎ বর্মণ বলেন, নবম শ্রেণির ছাত্র রউফের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানা আনা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.