একনাগাড়ে তিন সপ্তাহের বেশি কারও কাশি থাকলে তা দুশ্চিন্তার বিষয় বৈকি। দীর্ঘমেয়াদি কাশি কিছু জটিল রোগের উপসর্গ হতে পারে। জেনে নিন এ বিষয়ে: হাঁপানি বা অ্যাজমা: শীত বা শুষ্ক মৌসুমে হাঁপানি রোগীর কাশি বেড়ে যায়। রাতের বেলা বাড়ে, চলাফেরাতেও বাড়ে, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় জোরে জোরে শব্দ হতে পারে। রোগী তখন মুখ দিয়ে শ্বাস নেন। তাঁর নাকের দুই পাশ ও বুকের পাঁজর ওঠানামা করে। হাঁপানি রোগ বংশগত হতে পারে। এই রোগে অনেক সময় সংক্রমণ হলে কাশি বেড়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করলে ভালো থাকা যায়। ক্রনিক ব্রংকাইটিস: শ্বাসনালির ভেতরে প্রদাহ হলে সারা বছর বেশ কয়েকবার দীর্ঘমেয়াদি কাশি হতে পারে। ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ধূমপানই এর কারণ। এতে শ্বাসনালি সরু হয়ে যায় ও প্রচুর শ্লেষ্মা জমা হয়। ধূমপান ছাড়াও বায়ুদূষণ, ধুলোবালি, ধোঁয়া, কারখানার পরিবেশ ইত্যাদি দায়ী হতে পারে। যক্ষ্মা: দীর্ঘদিনের কাশির সঙ্গে জ্বর বা জ্বর-জ্বর ভাব, অরুচি, ওজন হ্রাস, লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি থাকলে যক্ষ্মা সন্দেহ করা যেতে পারে। বুকের এক্স-রে বা কফ পরীক্ষা করে যক্ষ্মার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। নির্ধারিত মেয়াদে সঠিক চিকিৎসা নিলে যক্ষ্মা পুরোপুরি সেরে যায়। ব্রংকিয়েকটেসিস: ফুসফুসে ঘন ঘন সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসের ফোঁড়া ইত্যাদি থেকে ফুসফুসের এই জটিল রোগ হতে পারে। শিশু ও বয়স্ক পুরুষদের এ সমস্যা বেশি হয়। এতে প্রচুর কাশি বের হয়, কফের রং সবুজ বা পুঁজ মিশ্রিত ও দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে। এমনকি রক্তও যেতে পারে। তাই কাশি তিন সপ্তাহের বেশি থাকলে এ বিষয়ে সচেতন হোন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.