বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ পৃথিবীর জন্য আশীর্বাদ। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদে। এই মসজিদ দেখতে আসতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’ আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব ঐতিহ্য, প্রাচীন মসজিদের শহর বাগেরহাটে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদ ও জাদুঘর পরিদর্শন করতে এসে বার্নিকাট উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ কথা বলেন। বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সম্পদ বিশ্বের জন্য গর্বের। আমার এ দেশের সহকর্মীরা আমাকে এই স্থাপনা সম্পর্কে বলেছেন। এখানে সংগ্রহশালায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, মসজিদটি সংস্কার করে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।’ এর আগে সকাল সোয়া নয়টায় তিনি খুলনা থেকে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ কমপ্লেক্সে পৌঁছান। সেখানে ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। পরে বার্নিকাট ষাটগম্বুজ মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে প্রদর্শিত হজরত খানজাহান আলী (রহ.)-এর ইতিহাস ঐতিহ্যের বিভিন্ন পুরাকীর্তির স্মারক সংগ্রহ ও প্রত্নবস্তু ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন ইউএসএআইডি মিশনের পরিচালক জেনিনা মেরুজেলস্কি, ডেপুটি ডিরেক্টর টমাস লাভ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টোডিয়ান মো. গোলাম ফেরদৌস, ষাটগম্বুজ মসজিদের খতিব মাওলানা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের বাছাড়পাড়া গ্রামে যান। সেখানে তিনি ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত মাতৃস্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি প্রকল্পের উপকারভোগী মায়েদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে তিনি খুলনার উদ্দেশ্যে বাগেরহাট ত্যাগ করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.