আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখল থেকে ইরাকের দ্বিতীয় প্রধান শহর মসুলকে পুরোপুরি মুক্ত করা সম্ভব। আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার সোমবার এমন কথাই জানিয়েছেন। কয়েক মাসের প্রস্তুতি শেষে গত ১৭ অক্টোবর আমেরিকার নেতৃত্বে ইরাকে আইএসের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি মসুল উদ্ধারে অভিযানে নামে প্রায় এক লাখ ইরাকি যৌথবাহিনী ও কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধারা। আমেরিকার কোনো সেনা সরাসরি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও দেশটির যুদ্ধবিমানগুলো অভিযানের শুরু থেকেই অব্যাহত হামলা চালিয়ে সরকারি বাহিনী সহায়তা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাও সরকারের পক্ষ হয়ে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। চারপাশ থেকে আসা যৌথবাহিনীর হামলার ফলে বিশাল এলাকা হারিয়ে এরই মধ্যে শহরটিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আইএস। তারপরও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যাপক পাল্টা হামলা চালিয়ে সরকারি বাহিনীকে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা, বিবিসি কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর মসুল ২০১৪ সালের জুন থেকে আইএসের দখলে রয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি তার তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার জন্য এই মসুলকেই বেছে নিয়েছিলেন। এ কারণেই মসুল পুনরুদ্ধারের একটি প্রতীকী মূল্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকার নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই অভিযানে এরই মধ্যে এক হাজারের বেশি আইএস সদস্য মারা গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে মসুলে এখনো পাঁচ হাজারের বেশি জঙ্গি সদস্য রয়েছে। আর পাশাপাশি শহরটিতে আটকে পড়া লোকের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ইরাকি বাহিনীর অভিযানের ফলে অন্তত এক লাখ ইরাকি সিরিয়া এবং তুরস্কে পালিয়ে যেতে পারে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.