খুব সত্যি করে বললে, এটা শুধু নামেই ‘বিশ্বকাপ’। ‘বিশ্বকাপ’ শুনলেই চোখের সামনে যে রোমাঞ্চ আর আভিজাত্যের ছবি ভেসে ওঠে, তার কিছুই এখানে নেই। টুর্নামেন্টের ফলটা এতই অনুমেয় যে শুরুর আগেই বলে দেওয়া যায় কোন দুটি দল ফাইনাল খেলতে পারে, ট্রফি জিততে পারে কারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই অনুমান ভুল হবে না।
খেলবে সাতটি দলই, তবে শিরোপার মূল লড়াইটা হবে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন অ্যাটলেটিকো ন্যাসিওনালের মধ্যে। চোখটা অবশ্য রিয়ালের ওপরই বেশি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-করিম বেনজেমা-সার্জিও রামোসদের দলটির ডাগআউটে জিনেদিন জিদানের মতো কিংবদন্তি। লস ব্লাঙ্কোরা এ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে তারকাখচিতই দলই শুধু নয়, শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদারও। রিয়াল, ন্যাসিওনাল আর কাশিমা অ্যান্টলার্স ছাড়া এবার আরও খেলছে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনবাক মোটরস, কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর ক্লাব আমেরিকা, আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার মামেলোডি সানডাউনস, ওশেনিয়ার চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটি।
২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে এবার দিচ্ছে একটা রেকর্ডের হাতছানিও। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ক্লাব হওয়ার রেকর্ড। আপাতত ২২টি করে ট্রফি নিয়ে এ রেকর্ডটি যৌথভাবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার।
চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রিয়াল ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবে সরাসরি সেমিফাইনাল থেকে। ১৫ ডিসেম্বর ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে যে ম্যাচে রিয়ালের প্রতিপক্ষ হতে পারে কোরিয়ার জিওনবাক মোটরস কিংবা মেক্সিকোর ক্লাব আমেরিকা। এর আগের দিন ওসাকা স্টেডিয়ামে অন্য সেমিফাইনালে সরাসরি খেলবে ন্যাসিওনাল। কোপা লিবার্তাদোরেসের চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়ার এই ক্লাবটির বিপক্ষেই কোপা সুদামেরিকানার ফাইনালে খেলার কথা ছিল বিমান দুর্ঘটনায় সব হারানো শাপেকোয়েনসের।
এর আগে ক্লাব বিশ্বকাপের ১২টি আসরের মধ্যে আটবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইউরোপের ক্লাব। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে এবারও ১৮ ডিসেম্বর ইয়োকোহামার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ থাকছে বলে ধরেই নেওয়া যায়। এএফপি, রয়টার্স।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.