নির্বাচন কমিশন (ইসি) যতই শক্তিশালী হোক, নির্বাচনের সময় দলীয় সরকার থাকলে কমিশন অসহায় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, এ দেশের অভিজ্ঞতা বলে, কোনো নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না।
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, তাঁরা আশা করেন বিএনপি যে প্রস্তাব দিয়েছে এবং অন্যরা যে প্রস্তাব দিয়েছে বা দেবে, সব বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি কমিশন গঠন করবেন। এটি হবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ। দ্বিতীয় ও প্রধান পদক্ষেপ হলো, কী ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, তা ঠিক করা। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। বাংলাদেশে সে ঐতিহ্য গড়ে ওঠেনি।
মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা ঢাকায় আনার মূল উদ্দেশ্য জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে দেওয়া। এটি দুরভিসন্ধিমূলক। এটি হবে হীনম্মন্যতার পরিচয়। এটি সরকারের ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে।
সংসদ ভবনের নকশা আনায় বিএনপির উদ্বেগের বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি সব সময় আওয়ামী লীগের খেলাই খেলেছে। যখনই কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠে, সরকার তা কৌশলে অন্য দিকে ঠেলে দেয়। তিনি এটিকে বিএনপির রাজনৈতিক অপরিপক্বতা হিসেবে অভিহিত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মুক্ত আকাশ সুবিধা দিলে স্বাধীনতা থাকবে না: গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দর, সড়ক ও মুক্ত আকাশ সুবিধা নিলে আক্ষরিক অর্থেই দেশের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বলে কিছু থাকবে না।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের আকাশসীমা ও বিমানবন্দর ব্যবহার করতে ‘ওপেন স্কাই’ সুবিধা চায় ভারত। তিনি বলেন, ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশ চুক্তি আছে। কিন্তু কোনো দেশের সঙ্গেই মুক্ত আকাশ সুবিধা দেওয়ার চুক্তি নেই। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না, এমনকি প্রয়োজনও নেই। শুধু ভারতের স্বার্থে সরকার এ চুক্তি করতে পারে। এতে বিমান ব্যবসা একচেটিয়া ভারতের কাছে চলে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের বাইরে নিজস্ব ফ্রিকোয়েন্সিতে ভারত বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও আকাশ ব্যবহারের ফলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.