নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়েও ভালো বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, সেখানে এখন পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন-সম্পর্কিত আইনশৃঙ্খলা বৈঠক শেষে গতকাল শনিবার সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দলভিত্তিক এই নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সাতটি দল প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। এ সম্পর্কে কাজী রকিবউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে সুন্দর রয়েছে। ভবিষ্যতে তা আরও উন্নত হবে। এখন পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন বহিরাগত ও সন্ত্রাসী-মাস্তানদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কমিশন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে জোরালো অভিযানের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে অভিযান দৃশ্যমান হয়। কোনো অবস্থাতেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো যাবে না। ভোটকেন্দ্রের দখল ঠেকাতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটের দিন ও ভোটের আগের রাতে যাতে কোনো ধরনের জোরাজুরি না হয়, কেউ যাতে কেন্দ্র দখল করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছি।’ নির্বাচনে সরকারদলীয় স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার বিষয়ে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ভোটের দিন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনে প্রযুক্তির মাধ্যমে তল্লাশি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান এবং কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা সংস্থা ও নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.