রাজবাড়ী পৌরসভার প্রায় ৯০ শতাংশ পাকা সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর অধিকাংশ জায়গায় নেই পিচ ঢালাই, আছে জায়গায় জায়গায় গর্ত। রাজবাড়ী পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯১৩ সালে স্থাপিত রাজবাড়ী পৌরসভার বর্তমান আয়তন ১১ দশমিক ৬৬ বর্গকিলোমিটার। ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভায় মোট রাস্তার পরিমাণ ৯৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা ৭৪ কিলোমিটার। বাকিটা আরসিসি, ইট বিছানো ও কাঁচা। পাকা সড়কের মধ্যে ৮ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ভালো আছে। বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা ফারুক উদ্দিন বলেন, পাঁচ বছর ধরে এসব রাস্তার সংস্কার করা হয় না। এতে করে রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের চলাচল করতে খুব সমস্যা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ভবানীপুর ভাঙা ব্রিজ থেকে আহম্মদ আলী মৃধা কলেজ মোড়, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তালতলা পর্যন্ত, রাজবাড়ী প্রেসক্লাব থেকে রেলওয়ে রেস্টহাউস, রেলস্টেশন-সংলগ্ন ফুলতলা থেকে পাবলিক লাইব্রেরি, বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রোকেয়া আমজাদ সড়ক পর্যন্ত, পাওয়ার হাউস থেকে এতিমখানা মসজিদ, বিলকিস সরণিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই উঠে খোয়া বের হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পিচ, খোয়া উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে পথচারী ও যানবাহন আরোহী লোকদের নিয়মিত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চরলক্ষীপুর গ্রামের রিকশাচালক মমিন শেখ বলেন, রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত থাকায় গাড়ির চাকা টাল হয়ে যায়। এ ছাড়া তাড়াতাড়ি যাওয়ার সময় ঝাঁকিতে অনেক সময় যাত্রীরা আঘাত পায় বা পড়ে যায়। বড়লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মুদি দোকানি আলম শেখ বলেন, রাস্তায় পিচ, খোয়া উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। ফলে বর্ষার সময় কাদা হয়ে পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। আবার শুকনো মৌসুমে ধুলায় ভরে যায়। এসব রাস্তা দ্রুত মেরামত করা দরকার। রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, গত পাঁচ বছর সড়কের উন্নয়নে তেমন কোনো কাজ করা হয়নি। এখন কিছুটা কাজ করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।