আগামী আইপিএলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন সাকিব আল হাসান। ভারতের এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দশম মৌসুমে বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডারকে ধরে রেখেছে তারা। গত আইপিএল মাতিয়ে আসা মোস্তাফিজুর রহমানকেও ছাড়েনি চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
গতবার ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি দিয়ে মোস্তাফিজকে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে গিয়েই চমকে দেন বাঁহাতি পেসার। দলকে শিরোপা জেতাতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মোস্তাফিজ নিয়মিত বোলিং করেছেন পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে, যখন বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার সবচেয়ে বেশি সুযোগ থাকে ব্যাটসম্যানদের। কঠিন এই পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ পেয়ে উত্তীর্ণ বাঁহাতি পেসার ১৬ ম্যাচে ২৪.৭৬ গড়ে নিয়েছেন ১৭ উইকেট, ইকোনমি মাত্র ৬.৯০। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম বিদেশি হিসেবে ‘সেরা উদীয়মান’ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন ‘ফিজ’।
এমন ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’কে কেন ছাড়বে হায়দরাবাদ? ছাড়েওনি। ২০১৭ আইপিএলের নিলামে যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশি পেসারের। নিলামে গেলেই কি মোস্তাফিজ বেশি লাভবান হতেন? আরও বেশি পারিশ্রমিক পেতে পারতেন? আসলে নিলামে ওঠার সুযোগ নেই মোস্তাফিজের। তাঁর বড় ভাই মাফুজার রহমান কাল বলেছেন, ‘হায়দরাবাদের সঙ্গে ওর চুক্তি দুই বছরের। এই সময়ে নিলামে উঠতে পারবে না সে। আগের দামেই এই আইপিএলেও খেলতে হবে।’
টুর্নামেন্টের দুবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতার সঙ্গে সাকিবের বন্ধনটা গড়াল পঞ্চম বছরে। ২০১১ সালে সাকিবের আইপিএলে অভিষেক কলকাতা দিয়েই। প্রথমবার নিলামে ওঠার পর থেকে আর তাঁকে ছাড়েনি দলটি। কলকাতার হয়ে ৪২ ম্যাচে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ২১.৬০ গড়ে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৪৯৭ রান। ২৪.৮৮ গড় ও ৭.১০ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। গত আইপিএল অবশ্য ভালো যায়নি তাঁর। ৫ ম্যাচ ছিলেন একাদশের বাইরে। ১০ ম্যাচে করেছেন ১১৪ রান, উইকেট মাত্র ৫টি। তবু সাকিবকে এবার ছাড়েনি কলকাতা। কলকাতার দলটিতে তিনিই একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড়। তথ্যসূত্র: জি নিউজ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.