কাতার ইন্টারন্যাশনাল কাপে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশের মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, আর ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ এনে দিয়েছেন রেশমা। কাতার ভারোত্তোলন ফেডারেশন কমিটি চতুর্থবারের মতো আয়োজন করেছে এই টুর্নামেন্ট। ১৪ই ডিসেম্বর শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। যদিও ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে না জানিয়ে এই প্রতিযোগিতায় সীমান্তদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন আছে। কথা উঠেছে খেলার বাইরে তাদের ক্লিনিং ও লোডারের কাজ করা নিয়েও। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ভারোত্তোলন ফেডারেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিন ভারোত্তোলককে নিয়ে কাতার গিয়েছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ। তিন ভারোত্তোলক স্বর্ণজয়ী মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, ব্রোঞ্জ জয়ী মোস্তাইন বিল্লাহ এবং ভারোত্তোলক রেশমা আক্তারের সঙ্গে যান ক্রীড়া পরিষদের কোচ শাহরিয়া সুলতানা সূচি এবং ফারুক সরকার কাজল। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা প্রথম দুদিন ক্লিনিং ও লোডারের কাজ করেছেন। ওই টুর্নামেন্টের একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় খেলার পর মোস্তাইন বিল্লাহ মেঝের ঘাম পরিষ্কার করছেন। এরপর মোস্তাইন ও সীমান্ত ভারোত্তোলকদের ওজন প্লেট পরিবর্তন করে দিচ্ছেন। জানা গেছে, এই টুর্নামেন্টের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই আন্তর্জাতিক ওয়েটলিফটিং ফেডারেশন এবং এশিয়ান ওয়েটলিফটিং ফেডারেশনে। যদিও কাতার ওয়েফলিফটিং ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক জায়েদ মুবারক ‘চতুর্থ কাতার কাপ’ নামক টুর্নামেন্টের একটি আমন্ত্রণপত্র দেন ফেডারেশনের বরাবর। কিন্তু এশিয়ান ভারোত্তোলন ফেডারেশনে এখনো ‘সাধারণ সম্পাদক’ পরিচয় দেয়ায় আমন্ত্রণপত্রটি নিজের মেইলে আনেন মহিউদ্দিন। আমন্ত্রণমূলক ভিসা থাকায় কাউকেই জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক। শুরুতে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল না। স্থানীয় মিডিয়া কাতার ট্রিবিউন এবং অন্য মিডিয়াগুলো ঘেঁটে এমনটাই দেখা গেছে। পুরুষ বিভাগে ৭৭, ৮৫, ৯৪ ও ১০৫ পাস কেজিতে খেলা হলেও নিয়মিত ইভেন্ট ৬২ কেজিতে খেলা মোস্তাইন বিল্লাহ কোথায় খেললেন তা জানেন না ভারোত্তোলন সংশ্লিষ্ট কেউই। আর মহিলা বিভাগে ৫৩, ৬৯ ও ৭৫ পাস কেজিতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশের মাবিয়া, আর ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ এনে দিয়েছেন রেশমা। উল্লেখ্য, ওয়াইল্ড কার্ডে রিও অলিম্পিকে সুযোগ না পাওয়া মাবিয়া ভারোত্তোলনে নিজের ছাপ রেখে আসছেন গত বছর থেকেই। ২০১৫ সালে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে রুপা জিতেছিলেন তিনি। বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরিতে স্বর্ণও জিতেছিলেন তিনি। সাফল্যের সেই ধারা ধরে রাখলেন তিনি কাতার কাপেও।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.