ঘাসের বুকের থেকে কবে আমি পেয়েছি যে আমার শরীর — সবুজ ঘাসের থেকে; তাই রোদ ভালো লাগে — তাই নীলাকাশ মৃদু ভিজে সকরুণ মনে হয়; — পথে পথে তাই এই ঘাস জলের মতন স্নিগ্ধ মনে হয়, — কউমাছিদের যেন নীড় এই ঘাস; — যত দূর যাই আমি আরো যত দূর পৃথিবীর নরম পায়ের তলে যেন কত কুমারীর বুকের নিঃশ্বাস কথা কয় — তাহাদের শান — হাত খেলা করে — তাদের খোঁপায় এলো ফাঁস খুলে যায় — ধূসর শাড়ির গন্ধে আসে তারা — অনেক নিবিড় পুরোনো প্রাণের কথা কয়ে যায় — হৃদয়ের বেদনার কথা — সান্ত্বনার নিভৃত নরম কথা — মাঠের চাঁদের গল্প করে — আকাশের নক্ষত্রের কথা কয়; — শিশিরের শীত সরলতা তাহাদের ভালো লাগে, — কুয়াশারে ভালো লাগে চোখের উপরে; গরম বৃষ্টির ফোঁটা ভালো লাগে; শীত রাতে — পেঁচার নম্রতা; ভালো লাগে এই যে অশ্বথ পাতা আমপাতা সারারাত ঝরে।
____ জীবনানন্দ দাশ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.