ভারতে নোট বাতিল ইস্যুতে এবার কাছাকাছি এলো ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। নোট বাতিল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই সমালোচনা করেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্নীতি ও কালো টাকার কথা বলে নোট বাতিল করলেও আসলে কালো টাকা উদ্ধারে কোনো কাজই করেননি। দেশের গরিব ও মধ্যবিত্তের কাছে কালো টাকা না থাকা সত্ত্বেও সব থেকে বেশি হয়রানি হচ্ছে তারাই। নোট বাতিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে মোদির। নোট বাতিল ভারতের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এক বিরাট ধাক্কা। এর জবাব দিতে হবে মোদিকে।
রাহুল সরাসরি মোদির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বলেন, সাহারা গোষ্ঠীর কাছ থেকে নয় বারে ৪০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন মোদি। সেই ঘটনা সত্যি না মিথ্যে তার জবাব কেন দিচ্ছেন না মোদি?
সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নোট বাতিল সিদ্ধান্ত ভারতের ইতিহাসে এক বিরাট দুর্নীতি। দেশে নোট বাতিলের ফলে মানুষ আজ খেতে পারছে না। ব্যাংকের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। নোট বাতিলের পর দেশের অবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য ৫০ দিন সময় নিয়েছিলেন মোদি। আজ ৪৭ দিন হয়ে গেছে। ৪৭ দিনে ২০ বছর পিছিয়ে গেছে দেশ। সব উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গেছে। রিজার্ভ ব্যাংকের যে কাজ (নোট বাতিল) করার কথা ছিল সেই কাজ মোদি করেছেন। ভালো দিনের নামে দেশ লুট করছেন মোদি। ক্যাশলেসের নামে মোদি আজ ফেসলেস। আজ প্রতিবাদ করলেই ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই দুর্নীতির অভিযোগে হেনস্থা করা হচ্ছে। মোদি সরকার ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নষ্ট করে ফেলছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
অন্যদিকে আজ উত্তরাখণ্ডে এক অনুষ্ঠানে মোদি জানান, তাঁর সরকার দরিদ্রদের জন্য কাজ করছে। তিনি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন না। শুধু ফিতে কাটা বা ছোটখাটো প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর লক্ষ্য শিকড় থেকে দুর্নীতিকে নির্মূল করা। তিনি বলেন, দুর্নীতি শেষ করতে না পারলে ভারত এগোবে না। কালো টাকার থেকে দেশের আজ বড় সমস্যা হলো মানুষের কুমতলব। তবে কালো টাকার বিরুদ্ধে যে লড়াই তিনি শুরু করেছেন সেই লড়াইয়ে তিনি সফল হবেন বলে আশা রাখেন। মোদি এই লড়াইয়ে সবার সমর্থন ও প্রার্থনা কামনা করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.