যুক্তরাষ্ট্রকে কূটনীতিক বহিষ্কারের সমুচিত জবাব দেওয়ার পণ করেছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ৩৫ জন কূটনীতিককে গতকাল বৃহস্পতিবার বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন ডিসি দূতাবাস ও সান ফ্রান্সিসকোর কনস্যুলেটে কর্মরত ওই রুশ কূটনীতিকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ও নিউইয়র্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত রাশিয়ার দুটি কার্যালয়ও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক মুখপাত্র বলেছেন, ক্রেমলিনের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র দারুণ অস্বস্তিতে পড়বে।
তবে পুতিনের মুখপাত্র এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন যে, পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে রাশিয়া।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান ভিন্ন। তিনি এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে আগেই নাকচ করেছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন অবরোধেরও বিপক্ষে তিনি। তাঁর ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আরও কে হ্যাক করেছে, তার কোনো চূড়ান্ত প্রমাণও নেই।
হ্যাকিংয়ের অভিযোগ তুলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কিছু ব্যবস্থা নেবেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
শুরু থেকেই হ্যাকিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। আর এই অভিযোগের আলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন’ পদক্ষেপ বলেছে রাশিয়া।
মার্কিন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, নিঃসন্দেহে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র তাৎপর্যপূর্ণ অস্বস্তিতে পড়বে।
তবে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়া তাড়াহুড়া করবে না বলে উল্লেখ করেন পেসকভ। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওবামা। সপ্তাহ তিনেকের মাথায় ট্রাম্প দায়িত্ব নেবেন। রাশিয়ার দিক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় থাকবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.