মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত আল্লাহ করিম মসজিদের নেতৃত্ব নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীবের সঙ্গে মসজিদ কমিটির সাবেক নেতৃবৃন্দের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। তাই যে কোনো সময় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে মসজিদটি নিয়ে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, মসজিদটির দখলদারিত্ব নিয়ে উত্তেজনা যে কোনো মুহূর্তে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। স্থানীয় কাউন্সিলর জোরপূর্বক কমিটি ভেঙে দেয়ার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আল্লাহ করিম মসজিদটি মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সালে মার্কেট কমিটি গঠিত হয়। মসজিদের তিন হাজার পঁচাত্তর স্কয়ার ফুট জায়গায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ১০৩টি দোকান রয়েছে। ২০০৫ সালে প্রতিটি দোকানে ০৯ টাকা স্কয়ার ফুট ভাড়া ধার্য করে দোকান মালিকদের বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন মো. আবদুল কাদের। ওই সময় আবদুল কাদের নিজের নামে দুইটি, স্ত্রীর নামে ১টি ও মেয়ের নামে ২টি দোকানসহ মোট পাঁচটি দোকান নেন। যার দোকান নং-০৪, ০৫, ২৮, ১০০ এবং ১০১। ২০০৫ সালে মার্কেট কমিটি গঠন হওয়ার পর এখনো অন্য কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। পুরনো কমিটি বহাল আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার পদে তারেকুজ্জামান রাজীব দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি জোরপূর্বক কমিটি ভেঙে দেন। কমিটি ভেঙে দেয়ার পর নিজের পছন্দমতো লোক কমিটিতে স্থান দেন। এছাড়া, কমিশনার আল্লাহ করিম মসজিদ (ওয়াক্ফ) মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেন। এ বিষয়টি কমিটির সদস্যরা ভালোভাবে নেয়নি। পূর্বের কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল কাদের তার দখলে থাকা পাঁচটি দোকানের ভাড়া নতুন কমিটির কাছে স্থানান্তর করেননি। আবদুল কাদের অন্য লোকদের তারিকুজ্জামান রাজীব নিয়ন্ত্রিত কমিটির কাছে ভাড়া না দেয়ার জন্য বলেন। এ বিষয়ে ২০০৫ সালে গঠিত কমিটির নেতারা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাই মার্কেটের দখলদারিত্ব নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীব ও মো. আবদুল কাদের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আল্লাহ করিম মসজিদ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে এরই মধ্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.