‘নিজের সুরে অন্যকে গাওয়ানো একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন কাজী শুভ। ‘সোনা বউ’ গানটির মধ্যে দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর ‘মন পাজর’, ‘যাহার লাগি’, ‘রসিক আমার’, ‘সারাটি জনম’, ‘এত কাছে’-গানগুলোর মাধ্যমে নিজের সফলতার ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখেন এ শিল্পী। স্টেজ ও অ্যালবাম-এ দু’ মাধ্যমেই সরব তিনি। গাওয়ার পাশাপাশি সুরকার হিসেবেও কাজ করছেন। তার সুরে এরই মধ্যে অনেক শিল্পীর কণ্ঠের গানই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে স্টেজ শো ও নতুন গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? কাজী শুভ বলেন, ভালো আছি। বছরের শেষ। তাই বেশ ব্যস্ততা যাচ্ছে। ব্যস্ততাটা এখন কি নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, আসলে শিল্পীরা বছরের এই সময়টায় বেশি ব্যস্ত থাকে। শীত মানেই স্টেজের মৌসুম। সেদিক থেকে অনেক শোর আয়োজন হচ্ছে। এখনকার ব্যস্ততাটা মূলত স্টেজ শো নিয়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করেছি এ মাসে। জানুয়ারিতেও টানা শো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। তাহলে অন্য কাজ কি বন্ধ? না। নতুন গানের কাজ চলছে। আমি স্টেজের বাইরে যে সময়টা পাচ্ছি সেটা নতুন গান তৈরিতে দিচ্ছি। কারণ সামনে যেহেতু ভালোবাসা দিবস ও পহেলা বৈশাখ তাই এই দুটি উৎসবে আমার নতুন গান প্রকাশ হবে। এদিকে গেলো রোজা ও কোরবানির ঈদে সর্বাধিক গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়েছিলেন কাজী শুভ। এর মধ্যে নিজের একক অ্যালবামও তিনি প্রকাশ করেছেন। রোজার ঈদে সিডি চয়েজের ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছে তার একক অ্যলবাম ‘দাগা’ এবং কোরবানির ঈদে সুরঞ্জলির ব্যানারে প্রকাশ হয়েছে ‘মায়ার আগুণ’ নামে আর একটি একক  অ্যালবাম। নতুন গানের কি খবর? কাজী শুভ বলেন, নতুন গানের কাজ চলছে। ভালোবাসা দিবসে তিনটি গান নিয়ে একটি একক অ্যালবাম প্রকাশের চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে আরও বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্টের জন্য গান করছি। আশা করছি গানগুলো শ্রোতারা পছন্দ করবেন। সুরকার হিসেবে কাজ করতে কেমন লাগে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজের সুরে অন্যকে গাওয়ানো একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কারণ শ্রোতারা কিভাবে সেটা নেবে তা নিয়ে একটি চিন্তা থাকে। সেদিক থেকে গাওয়ার চাইতে সুরকার হিসেবে কাজ করাটা কঠিনই বটে। তারপরও আমি চেষ্টা করি নিজের স্টাইলেই অন্যদের জন্য গান তৈরি করতে, সেটা হলে ভিন্নধর্মি কিছু দাড়ায়। আপনার দৃষ্টিতে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন? কাজী শুভ বলেন, আমিতো মনে করি ইন্ডাস্ট্রি আবার ঘুরে দাড়াচ্ছে। আর এ বছরে প্রকাশিত রেকর্ডসংখ্যক অ্যালবামই তার প্রমাণ। তবে এই ধারাবাহিকতাটা অব্যহত রাখতে হবে। কোম্পানিগুলো এখন ভালো বিনিয়োগ করছে অ্যালবামগুলোতে। পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানিও এগিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমার বিশ্বাস ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা সামনে আরও ভালো  হবে। অনেকেই অভিযোগ করছেন এ সময়ের গান তেমন একটা দীর্ঘস্থায়ি হচ্ছে না। তার কারণও রয়েছে বেশ। আপনি কি মনে করেন এ বিষয়ে? কাজী শুভ বলেন, এটার সঙ্গে আমি একমত নই। ভালো গানের পাশাপাশি খারাপ গানও হচ্ছে। তবে আশার বিষয় হলো শেষমেষ শ্রোতারা ভালো গানগুলোই কেবল গ্রহণ করছে। আর গান টিকে থাকা না থাকার বিষয়টি সময়ের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এখন প্রকাশ হয়ে এখনইতো আর দীর্ঘস্থায়ি হতে পারবে না গান। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আজ থেকে দুই যুগ পর বোঝ যাবে এখনকার গানের দীর্ঘস্থায়িতার বিষয়টি। এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। সংসার কেমন চলছে? আমার স্ত্রী ও মেয়ে পূর্ণতাকে নিয়ে সংসার ভালোই চলছে। গানের পাশাপাশি আমি চেষ্টা করি ওদের সময় দেয়ার।