দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অনেক বড় একটা সমালোচনা ছিল এটিও, শুরুর দিকে দৌড়ে খুব বেশি রান নেননি ব্যাটসম্যানরা। আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে অন্তত এদিকটাতে অনেক উন্নতি এসেছে। প্রথম তিন-চার ওভারে খুব বেশি না হলেও, এরপর থেকেই তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস অনেক দ্রুত সিঙ্গেলস আদায় করে নিচ্ছেন। সঙ্গে মাঝে মাঝে বলকে সীমানা ছাড়া তো করছেনই। তামিম-ইমরুলের ‘উন্নত’ ব্যাটিংয়েই সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটিতে এসেছে ‘সেঞ্চুরি’। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ১ উইকেট হারিয়ে ২৪ ওভারে ১১৭ রান করেছে বাংলাদেশ। নিল ব্রুমের দুর্দান্ত ক্যাচ হওয়ার আগে ৪৪ রান করেছেন ইমরুল কায়েস। তবে তামিম এখনো অপরাজিত, ফিফটিও করে ফেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তিনে নেমেছেন সাব্বির রহমান, এরই মধ্যে দুর্দান্ত দুটি চার মেরে অপরাজিত আছেন ৯ রানে। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা নিশ্চয়ই এমন কিছুই আশা করেছিলেন উদ্বোধনী জুটির কাছ থেকে। প্রথম কয়েক ওভারে বল ঠিকঠাক ব্যাটে আসছিল না। চার যে তিন-চারটি এসেছে, তারও বেশির ভাগ সৌভাগ্যপ্রসূত। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছেন তামিম-ইমরুল। বল ব্যাটে আসতে শুরু করে ভালোভাবে, বাউন্ডারির পাশাপাশি দৌড়েও প্রান্ত বদল করেছেন দুজনে। অবশ্য সেটি একেবারে যে নির্বিঘ্ন ছিল, তা-ও নয়। কয়েকবারই রান আউটের সম্ভাবনা জেগেছিল। তামিম-ইমরুল দুজনই রান করেছেন প্রায় সমান গতিতে। স্যান্টনারের বলে স্লগ করতে গিয়ে উল্টো ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ইমরুল করেছেন ৬২ বলে ৪৪ রান। চার মেরেছেন ৫টি, ছক্কা একটি। তামিমেরও চার ৫টি। অপরাজিত আছেন ৭১ বলে ৫০ রান করে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.