বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু বিয়ের পোশাক

সংস্কৃতি বিষয়টিই হল একটি নির্দিষ্ট ভূখন্ডে একদল জনগোষ্ঠীর কিছু আচার আচরণ, ভাষা, কৃষ্টি, জীবিকার উপায়, সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য, নাট্যশালা, সামাজিক সম্পর্ক, ধর্মীয় রীতিনীতি, শিক্ষা দীক্ষা ইত্যাদি। ভিন্ন ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্নরকম হয়ে থাকে, এমনকি একই দেশের ভিন্ন গোষ্ঠীর সংস্কৃতিও ভিন্ন রকম হয়।

বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন একটি দেশের সংস্কৃতিরই অংশ। বিয়ে নামক এই সামাজিক বন্ধনটিতেও স্থান ভেদে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ভিন্ন সংস্কৃতি আর কৃষ্টির আদলে সম্পন্ন হয়ে থাকে বিয়ে। আলাদা সংস্কৃতির কারণে স্থান ভেদে বিয়ের পোশাকেও এসেছে ভিন্নতা। আসুন এমনি কয়েকটি দেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু বিয়ের পোশাকের সাথে পরিচিত হই।

জাপানীদের কাছে তাদের ঐতিহ্যের মূল্য অনেক বেশি। আর তাই সম্পূর্ণ ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্যের আদলেই তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পোশাকটিতেও থাকে ঐতিহ্যের বাহার। অনেকটা ঢিলেঢালা পোশাকটিতে থাকে বিভিন্ন কারুকাজ করা।

ইন্দোনেশিয়ার বিয়ের পোশাকটির ভিন্নতা এখানেই যে এই পোশাকটিতে দুটি পার্ট করা থাকে, কিছুটা কোটির ধাঁচে। আর বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন পোশাকটিতে নিয়ে আসে বিভিন্ন বৈচিত্র্যতা।

চীন আর জাপানের বিয়ের পোশাকটি কিছুটা একই ধাঁচের হয়ে থাকে। ঢিলেঢালা গাউন টাইপের। কিন্তু পার্থক্য রয়েছে পোশাকটিতে আঁকা বিভিন্ন কারুকাজে আর অর্নােমেন্টসে।

বাংলাদেশের বিয়েতে শাড়ি পরে থাকে নারীরা। এর রং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাল বা লাল খয়েরি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নারীদের রুচির ভিন্নতায় বিভিন্ন রংয়ের সংযোজন ঘটেছে। নীল, বেগুনি, কালো, সবুজ এমনকি সাদা রংয়েরও বিয়ের শাড়ি পরে থাকেন বাংলাদেশী নারীরা। শাড়িগুলোতে থাকে বিভিন্ন পাথর বা অন্যান্য মেটালের ভারী কাজ।

রাশিয়ার নারীদের বিয়ের পোশাকটিও পাশাচাত্যের ধাঁচে হয়ে থাকে। অর্থাৎ গাউন টাইপের। তবে এতে রংয়ের ভিন্নতা এবং ডিজাইনের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

ভারতীয় নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়েতে লেহেঙ্গা পরে থাকেন তবে ক্ষেত্র বিশেষে তারা শাড়িও পরে থাকেন। তাদের বিয়ের লেহেঙ্গাটি লাল রংয়ের হয়ে থাকে কেননা এর সাথে তাদের একটি ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। আর সেটি হল সিঁদুরের রং লাল বলে তাদের বিয়ের পোশাকটিও লাল হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে ভারতীয় নারীদের রুচির ভিন্নতায় নানা ধরনের রং যুক্ত হয়েছে।

ফ্রান্স আধুনিক একটি দেশ। আর তাদের বিয়ের পোশাকটিতেও রয়েছে আধুনিকতার ছাপ। তারা পাশ্চাত্য ধাঁচের গাউন পোশাকটি পরে থাকেন বিয়েতে আর সাজসজ্জা থাকে একেবারেই সাদামাটা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিয়ের পোশাকটি দেখুন ছবিতে। পোশাকটিতে উপরের অংশটি ফিটিং থাকলেও নিচের অংশটি বেশ ছড়ানো হয়ে থাকে। পোশাকটির সাথে মিশে রয়েছে তাদের একান্ত ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্য যার ফলে তারা সুখী দাম্পত্যজীবন উপভোগ করতে পারবে বলে আশা রাখে।

ছবিতে দেখুন কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকটি। উপরে শার্টের মতো হলেও নিচের অংশটি ছড়ানো গাউন। ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকটি পরে কি অসাধারণ আর মোহনীয়ই না লাগছে কোরিয়ান রমনীটিকে।

এটি তিব্বতের বিয়ের পোশাক। এই পোশাকটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল হাতের অর্ধেক অংশ অনেক বেশি ঢোলা আর বাঁকি অংশটি চাপানো থাকে এবং কাঁধটি বেশ ফুলানো থাকে।