“সিস্টার’স ইউনাইটেড : ওমেন’স সাফরেজ ইন সাস্কাচুয়ান প্রদর্শনী ইউনিভার্সিটি অফ সাস্কাচুয়ান ক্যাম্পাসে ডিফেনবেকার সেন্টারএ

ইউনিভার্সিটি অফ সাস্কাচুয়ান ক্যাম্পাসে ডিফেনবেকার সেন্টার এ চলছে কয়েক মাস ব্যাপী “সিস্টার’স ইউনাইটেড” প্রদর্শনী । ওমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিস বিভাগের কয়েকজন স্কলার এবং অন্যান্য আরো কয়েকটি (সমাজবিজ্ঞান ,ইতিহাস, ইংলিশ ) বিভাগের সহায়তায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এই সাস্কাচুয়ান প্রদেশের নারীরা মাত্র একশত বছর আগে কেমন করে নারীদের ভোটের অধিকারের জন্য যুদ্ধ করেছিল এবং কেমন করে তাঁরা সফল হয়েছিল আর কারাইবা সেই সকল মহিয়সী নারী তাঁদের জীবন এবং কর্মকে তুলে ধরবার জন্যই ইউনিভার্সিটি অফ সাস্কাচুয়ান এই প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে নারীর ভোটাধিকার অর্জনের ১০০ বছর পূর্তিতে ।সাস্কাটুন কমিউনিটি রেডিও অনুষ্ঠান  “বাংলার গান ও কথা” “সিস্টার’স ইউনাইটেড : ওমেন’স সাফরেজ  ইন সাস্কাচুয়ান (Sisters United: Women’s Suffrage in Saskatchewan) সম্পর্কে একটি তত্থবহুল শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কমুনিটির শিশু -কিশোরদের জন্য। যেখানে বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে  ছিলেন ক্রিস্টিয়ান পল্লক যিনি এই প্রদর্শনীটি সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ডিফেন বেকার সেন্টার এ কর্মরত। প্রমিতা দাস , সৃজিতা সরকার, পুলক দাস ,নাদিয়া আফরিন নাহিদা এবং প্রার্থনা কে ধন্যবাদ অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণের জন্য।

এই প্রদর্শনীটি  উদ্বোধন করা হয় গত অক্টোবরের ২ তারিখে এবং এটি চলবে মার্চ ২০১৭ সাল পর্যন্ত । সেখানে সাস্কাচুয়ান এর অগ্রগামী নারীগণ যাঁরা ভোটাধিকার আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তাদেরকে বিশেষভাবে তুলে ধরেছে। এখানে শিক্ষনীয়ভাবে প্রধান সাতজন সাফ্রিজিস্টস নারীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও তখনকার সময়ে রক্ষণশীল পুরুষরা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কেন এবং কেমন করে নারীদের তাদের মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতো সেই ইতিহাসও লিপিবব্ধ করেছে যেখানে কানাডার আদিবাসীরা ছিলো সবচেয়ে বেশী নিগৃহীত এবং অধিকার বঞ্চিত গোষ্ঠী হোয়াইট সেটেলারদের দ্বারা।সেসময়ে বর্ণ বৈষম্য ছিল সমাজে প্রকট, যা এখনো নানা আকারে চোখে পড়ে।১৯৬০ সালে কানাডার প্রাইম মিনিস্টার জন ডিফেনবেকার কানাডার আদিবাসীদের প্রথম ভোট প্রদানের অধিকার প্রদান করেন। বর্ণ বৈষম্যের কারণে ইন্দো -কানাডিয়ান , চাইনিজ এবং জাপানীস কানাডিয়ানরা ১৯৪০ সাল পর্যন্ত ভোট দেবার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।

ভায়োলেট মাকনটেন ছিলেন সবচেয়ে খ্যাতিমান সাফ্রিজিস্টস নেত্রী যিনি আলবার্টা এবং ম্যানিটোবার সম মনা নারীদের সাথে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করেন। তিনি ছিলেন একজন কৃষক নারীবাদী। তিনি নারীদের ভোটাধিকার বোর্ড এর গোড়া পত্তন করেন। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাফ্রিজিস্টসরা হলেন এলিস লটন, জোয়া হেইট , এরমা স্টকিং ,আনি হোলিস , লিলিয়ান বি. থমাস এবং তাঁর বোন ফ্রান্সিস বেয়নন।

সাস্কাচুয়ান এর বাইরের পাঠকদের জন্য সাস্কাচুয়ান জন ডিফেনবেকার কানাডা সেন্টার এর ভার্চুয়াল প্রদর্শনীটির লিংক সংযুক্ত করে দিলাম।

নারীবাদী আদর্শ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন শুধু নারীর প্রতি ন্যায় বিচারের জন্য নয়, প্রয়োজন একটি অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী সমাজের জন্য। মানবিকভাবে সহনশীলতাই পারবে সমাজে লিঙ্গ সমতা তৈরী করতে।

অনুষ্ঠানটির কারিগরী সহযোগিতায় ছিলেন রঞ্জন দত্ত এবং সৃজিতা সরকার।

Photo Credit: রঞ্জন দত্ত