এফএম রেডিও যুগের সমাপ্তি টানতে যাচ্ছে নরওয়ে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে ফ্রিকোয়েন্সি মডুলেশন বা এফএম নেটওয়ার্ক বন্ধ করবে দেশটি।
এফএম বন্ধ করে ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর আস্থা রাখা নরওয়ে সফল হলে একই উদ্যোগ নেয়ার আভাস দিয়েছে সুইজারল্যান্ড ও ব্রিটেন।
তবে এফএম বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তে রাজি নয় অধিকাংশ নরওয়েবাসী। দেশটির একটি জনপ্রিয় পত্রিকার মতামত জরিপ অনুযায়ী ৬৬ শতাংশ নরওয়েবাসী চান না এফএম বন্ধ হোক। এফএম এর বদলে ডিজিটাল অডিও ব্রডকাস্টিং (ড্যাব) সমর্থন জানিয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ পাঠক। বাকীরা আছে সিদ্ধান্তহীনতায়।
যুগের সঙ্গে তাল রেখে নরওয়ে এফএম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এমন সিদ্ধান্তের সমালোচকদের দাবি, সরকার বেশি তাড়াহুড়ো করছে। এফএম এখনি বন্ধ করলে জনগণের একটি বড় অংশই জরুরি সতর্কবার্তা পাওয়ার প্রচলিত মাধ্যম থেকে বঞ্চিত হবে। বিশেষ করে ব্যাপক সমস্যায় পড়বে ২০ লাখ গাড়ি ব্যবহারকারীরা। কারণ এসব গাড়িতে অত্যাধুনিক ড্যাব রিসিভার নেই।
সমালোচনার বিরোধীতাকারীরা বলছে, এবছরের শেষ নাগাদ দেশের এফএম বন্ধ করে সবাই ড্যাবে অভ্যস্ত হবে। কারণ গুঞ্জনহীন এবং অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট শব্দ শ্রোতার কানে পৌঁছে দেবে ড্যাব।
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই এফএম বন্ধের সিদ্ধান্তে আপাতত অনড় নরওয়ে সরকার। যদি এই সিদ্ধান্ত সফল হয় তাহলে ২০২০ সাল নাগাদ এফএম সম্প্রচার বন্ধ করে দেবে সুইজারল্যান্ড। একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে ডেনমার্ক ও ব্রিটেন।
নরওয়ের ডিজিটাল রেডিওর প্রধান ওলে জোয়েরগেন টর্ভমার্ক বলেন,‘প্রথম দেশ হিসেবে আমরাই এফএম বন্ধ করছি। তবে আরও কয়েকটি দেশও একই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’।
১১ জানুয়ারি নরওয়ের বোডো শহরে বন্ধ হবে এফএম। এরপরই ১৯৫০ এর দশক থেকে যাত্রা শুরু করা এফএম সম্প্রচার নরওয়ে জুড়ে ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.