উত্তরায় স্কুলছাত্র আদনান কবীর খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ব্রিজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ ও অন্যজনের ১৬ বছর। তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় সম্পাদকীয় নীতি অনুযায়ী নাম প্রকাশ করা হলো না।
গত শুক্রবার উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে ব্যাডমিন্টন খেলে ফেরার পথে হামলার শিকার হয় আদনান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আদনানের বাবা কবীর হোসেন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক শাহীন মিয়া বলেন, ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ আদনানের ওপর হামলা করে আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। আদনানের মাথা ও পেছনে কিডনির অংশে গুরুতর আঘাতের পাশাপাশি দুহাতের রগ কেটে ফেলা হয়েছিল। তিনি বলেন, এলাকায় ‘ডিসকো গ্রুপ’ নামে একটি সংঘবদ্ধ দল আছে। হামলাকারীরা এই দলের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হামলার কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। শাহীন মিয়া আরও বলেন, গ্রেপ্তার ১৩ বছর বয়সী আসামির সঙ্গে আদনানের একবার ঝগড়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। অন্যজনের রিমান্ড শেষ হলে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
আদনানের বাবা কবীর হোসেন বলেন, আদনান প্রতিদিন বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে খেলতে যেত। বন্ধু বা সহপাঠীদের কারও সঙ্গে আদনানের কোনো ঝগড়া বা সমস্যার কথা তিনি জানতেন না। তিনি বলেন, আদনান কোনো দলের সদস্য না। স্কুল ছাড়া সারা দিন বাসাতেই থাকত। বিকেলে শুধু খেলার জন্য বাইরে যেত।
আদনান এবার জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পাস করেছিল। গতকাল তার নবম শ্রেণিতে ভর্তির কথা ছিল বলে কবীর হোসেন জানিয়েছেন। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে আদনান ছিল দ্বিতীয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.