জ্যোতির্বিদ্যার সবচেয়ে হেঁয়ালিপূর্ণ সমস্যা বলা হয় রেডিও তরঙ্গকে। আর এবার প্রথমবারের মতো এই তরঙ্গের উৎস উদঘাটন করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
২৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি বামন আকৃতির ছায়াপথ থেকে ভেসে আসছে রহস্যময় এই আওয়াজ। রেডিও তরঙ্গের হিসাবে এর দৈর্ঘ্য মিলি সেকেন্ড।
বুধবার ন্যাচার অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারে এমন তথ্যই জানিয়েছেন গবেষকরা।
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডানকান লরিমার বলেন, ‘প্রথমবারের মতো মহাকাশের অন্য কোনো উৎস থেকে রেডিও তরঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেল। এটি একটি বিরাট আবিষ্কার।’
প্রথম বারের মতো ২০০৭ সালে এই ধরনের রেডিও তরঙ্গ বা ফাস্ট রেডিও বার্স্টের (এফআরবি) সন্ধান পাওয়া যায়। তবে বিজ্ঞানীরা সেই সময় মাত্র ১৮ সেকেন্ডের জন্য এর সংকেত রেকর্ড করতে পেরেছিলেন। তবে ঠিক কোথা থেকে এই আওয়াজ বা তরঙ্গ ভেসে আসছিল সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তাঁরা। মনে হচ্ছিল গোটা আকাশ থেকেই বুঝি আওয়াজ ভেসে আসছে।
এই রেডিও তরঙ্গ ভেসে আসাকে জ্যোতির্বিদ্যার নতুন দিগন্ত খুলে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
অনেক বিজ্ঞানীর ধারণা, দূরবর্তী কোনো নক্ষত্রপুঞ্জ বিস্ফোরিত হয়ে এই আওয়াজ ভেসে আসছে। অবশ্য কারো কারো ধারণা, আমাদের ছায়াপথেই এই আওয়াজের উৎপত্তি। প্রথমবার ২০০৭ সালে যে আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল সেটিকেও অনেকে দুটি বড় নক্ষত্রের সংঘর্ষের শব্দ বলে মনে করেন। কারণ এর পরে এ শব্দের উৎস খুঁজে যাওয়া যায়নি।
গত বসন্তে গবেষকরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখতে পান, আকাশের কিছু নির্দিষ্ট স্থান থেকে এই শব্দ ভেসে আসছে। কিন্তু আসলে এই শব্দের উৎপত্তি কোথায়? ধারণা করা হচ্ছে, আড়াইশো কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি ছোট ছায়াপথ থেকে আওয়াজটি ভেসে আসছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.