ঢাকার খুব কাছেই মানিকগঞ্জ জেলা অবস্থিত। এই জেলায় পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মত নানা উপকরণ রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এ জেলায় পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য সরকারি কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বালিয়াটি ও তেওতা জমিদার বাড়ী সংস্কারের অভাবে ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।
এ প্রাচীন স্থাপনাসমূহ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করলে অতি প্রাচীন এসকল ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা করা গেলে পর্যটকরা উল্লিখিত পর্যটন কেন্দ্রসমূহে আসতে আগ্রহী হবে।
বালিয়াটির জমিদারদের অবদান মানিকগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির ইতিহাসে উল্লেখ যোগ্য। বালিয়াটির জমিদারেরা ঊনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে আরম্ভ করে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বছর বহুকীর্তি রেখে গেছেন যা জেলার পুরাকীর্তিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বালিয়াটির পাঠান বাড়ীর জমিদার নিত্যানন্দ রায় চৌধুরীর দু’ছেলে বৃন্দাবন চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং জগন্নাথ রায় চৌধুরীর হাত ধরে বালিয়াটির নাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
বালিয়াটিতে আজও দু’বেলা রাধা বল্লব পূজো হচ্ছে। বালিয়াটিতে ১৯২৩ সালের দিকে জমিদার কিশোরী রায় চৌধুরী নিজ ব্যয়ে একটি এলোপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। জমিদার হীরালাল রায় চৌধুরী সাটুরিয়া থেকে বালিয়াটির প্রবেশ পথের পাশে কাউন্নারা গ্রামে একটি বাগানবাড়ী নির্মাণ করেন এবং সেখানে দিঘির মাঝখানে একটি প্রমোদ ভবন গড়ে তোলেন যেখানে সুন্দরী নর্তকী বা প্রমোদ বালাদের নাচগান ও পান চলতো। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দৃষ্টিনন্দন ও প্রাসাদের রক্ষনাবেক্ষণ করছে।
এই প্রাসাদটি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়াতে অবস্থিত। মানিকগঞ্জ থেকে যার দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। বাস যোগে আপনি চলে যেতে পারেন সেখানে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.