প্রবল বৃষ্টি আর বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল।এরইমধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন। কয়েক হাজার গ্রাম বিধ্বস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। তবে সবচে’ আতঙ্কের বিষয় হলো, বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় দেশটির দক্ষিণ প্রদেশের জাতীয় বন থেকে অন্তত ১০টি কুমির বেরিয়ে পড়েছে।
ব্যাংককের গণমাধ্যম বলছে, বন্যার অবস্থা এতটাই খারাপ যে চি়ড়িয়াখানা থেকে প্রাণীদের সরানোর সুযোগটাও পাননি কর্তৃপক্ষ। বন্যায় ভেসে গেছে থা লাড চিড়িয়াখানা। এতে ছিল ১০টি কুমির, পানির তোড়ে ভেসে গেছে সে কুমিরও। বিষয়টি মোটেই সুখবর নয় পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীর জন্য। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যার জেরে খাবার সংকটে তারা হামলে পড়তে পারে মানুষের ওপর। এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, তারা এখন নৌকায় চড়ে কুমির খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অংশে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। বৃষ্টির জেরে রাস্তাগুলো এখন নদীর চেহারা নিয়েছে। দেড় হাজার স্কুলের অবস্থা শোচনীয়। কৃষিজমিও পানির তলায়। থাইল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আরো দু’দিন চলবে এ বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ সময়ে থাইল্যান্ডে এমন বৃষ্টি অস্বাভাবিক। নভেম্বর থেকে আবহাওয়া ভালই থাকে। তাই এ সময় পর্যটকদের ভি়ড় জমে। অঞ্চলটিতে বর্তমানে বাস, ট্রেন বন্ধ। সঙ্গে বিমানের ফ্লাইটগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.