শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম জরুরি। কিন্তু এই শীতে আরামের ঘুম ছেড়ে বেরোতে অনেকেরই আলসেমি হয়। তার ওপর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ও আছে। এসব অজুহাত দেখিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম ছাড়া উচিত নয়। তবে সাবধানতা চাই। এ নিয়ে কিছু কথা:
* ব্যায়ামের সুফলগুলোর কথা মনে করে শুরু করে ফেলুন ব্যায়ামের প্রথম ধাপ। বাকিটা আপনা-আপনি দারুণভাবে সারতে পারবেন। জবুথবু ভাবটা কাটানোই শীতে ব্যায়ামের প্রথম ধাপ।
* হুট করে ভারী ব্যায়াম করবেন না। মাংসপেশি হঠাৎ টান টান করলে ব্যথা হতে পারে। বরং ধীরে ধীরে কঠিন ব্যায়ামগুলো শুরু করবেন। প্রথমে ‘ওয়ার্ম আপ’ অর্থাৎ, শরীর খানিকটা গরম করে নিন। এরপর হালকা ধাঁচের ব্যায়ামগুলো ধীরে ধীরে শুরু করুন। যেসব ব্যায়ামে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়, সেগুলো পরে করুন। ব্যায়াম শেষ করার বেলায়ও ‘কুল ডাউন’ করতে ভুলবেন না।
* শীতের ব্যায়ামের সময় গরম কাপড় তো পরবেন, তবে অতিরিক্ত ভারী পোশাক পরবেন না। ব্যায়াম করতে করতে গরম লাগলে শীতপোশাক সরিয়ে ফেলুন। দু-এক প্রস্থ হালকা পোশাক পরেই ব্যায়াম করা যায়।
* শীতে পিপাসা তেমন লাগে না বললেই চলে। তবু পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ব্যায়াম এবং কায়িক পরিশ্রম করলে অবশ্যই খানিকক্ষণ পরপর পানি পান করার অভ্যাস বজায় রাখুন।
* শীতে শ্বাসকষ্ট হয়, এমন ব্যক্তির এই সময় ব্যায়াম না করাই ভালো। কারণ, ব্যায়ামের ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
* ভোরে আর সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়ে, পথ তো পিচ্ছিল হয়ই, মাথায় ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শীতের দিনে অতি ভোরে বা সন্ধ্যার পর নয়, ব্যায়াম করুন দিনের আলোয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.