মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেও বাড়ি গিয়ে মা-বাবা, ভাইবোনের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না সিরাজগঞ্জের যুবক সফিকুল ইসলাম। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে গাজীপুরের হায়দরাবাদে পৌঁছে না-ফেরার দেশে যেতে হলো তাকে। কথা ছিল, দেশে মাত্র ৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আবারো ফিরে যাবেন, মাত্র সোয়া বছর আগে বিয়ে করা ওই দেশীয় স্ত্রীর কাছে। আর ছেলে সফিকুলের বাড়ি ফেরা নিয়ে তার মা-বাবা ও স্বজনদের ছিল কতই না আনন্দ। সবই মাটি হয়ে গেছে ছিনতাইকারীদের কারণে। সবার আনন্দ এখন বেদনায় রূপ নিয়েছে। স্বজনদের এখন অপেক্ষা মরদেহ শেষবারের মতো এক নজর দেখার। মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ে পুলিশ গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে ওই প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত সফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের মাইঝাইল গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। স্থানীয় ও তার স্বজনদের দাবি, সফিকুলের সর্র্বস্ব কেড়ে নেয়ার সময় বাধা দেয়ায় ছিনতাইকারীরা তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। টঙ্গী রেলওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ এএসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, সফিকুল ইসলামের মরদেহ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দরাবাদ এলাকার রেললাইনের পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায় আঘাত এবং একটি পা ভাঙা রয়েছে। তাকে ছিনতাইকারীরা ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করেছে কি না তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। নিহতের ভাগ্নি জামাই জানান, নিহত সফিক মালয়েশিয়ায় ১০ বছরের প্রবাস জীবন কাটান। সেখানে তিনি ১০১৫ সালে বিয়ে করেন। গতরাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। পরে তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে ট্রেনে রওনা দেন। সকালে এলাকাবাসী তার মরদেহ হায়দারাবাদ এলাকায় দেখতে পান বলে জানান তিনি। তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়ার আগে তার লাগেজ, টাকা সবই কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। তিনি আরো জানান, মাত্র ৬ দিনের ছুটি নিয়ে তার বিয়ের এবং স্ত্রীর কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে দেশে এসেছিলেন। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের দাবি, ছিনতাইকারীরা তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করেছে। টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাইকারীরা প্রায় যাত্রীদের স্বর্বস্ব লুট করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.