ভাঙনের কবলে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। পরিবেশ, প্রতিবেশ ও পর্যটন শিল্প রক্ষায় দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সংম্মেলন করেছেন সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ। ১৫ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্ব মিয়ানমার সীমান্তে ৮.৩ বর্গ কিলোমিটারের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এ দ্বীপে প্রায় ৯ হাজার মানুষের বসবাস। দ্বীপের চতুরর্দিকে প্রাকৃতিক প্রবাল দ্বারা আচ্ছাদিত। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত দ্বীপটি। সরকারি-বেসরকারিভাবে আধুনিক বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হলেও নির্মিত হয়নি টেকসই মজবুত বেড়িবাঁধ। জলবায়ু পরিবর্তন ও সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের চতুরদিকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকাংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ভবিষ্যতে প্রবাল দ্বীপটি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দ্বীপবাসী। সেই সঙ্গে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা ম্লান হয়ে যেতে পারে। তাই এসব উন্নয়ন পরিকল্পনা ধরে রাখতে এবং প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে সাগরের করাল গ্রাস এবং ভাঙন থেকে রক্ষার্থে টেকসই মজবুত বেড়িবাঁধ ও কাম সড়ক নির্মাণ জরুরিভাবে দরকার। ১৯৯১ সাল থেকে অতিজোয়ার ও বর্ষণে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভাঙনের কবলে পড়ে। এরপর থেকে ভাঙন প্রকট আকার ধারল করে। ইতিমধ্যে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণাংশ ও উত্তরাংশ সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপের আয়তন। বর্ষা এলেই ভাঙনের ভয়ে দ্বীপের মানুষ আতঙ্কে থাকেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে দ্বীপের চতুর্দিকে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, দ্বীপবাসীর ব্যক্তি উদ্যোগে ভাঙন ঠেকাতে বাঁধ নির্মাণকালে স্থানীয় প্রশাসন বাধা সৃষ্টি করেছে। ফলে বাঁধ না দেয়াই ওই অংশটি সাগরে বিলীন হয়েছে। তাই দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সাগরের ভাঙন থেকে রোধ করতে এবং পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সেন্টমার্টিনবাসীর পক্ষে জোরালো দাবি জানান। এ সময় আমির হোসেন মেম্বার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফেজ উল্লাহসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়াকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.