নতুন নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন তাঁদের শপথ পড়ান।
গত ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো পরোক্ষ ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ। এতে চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পড়ান। গতকাল ৫৯ জেলার ১ হাজার ৬৯ জন সদস্যকে দুই দফায় শপথ পড়ানো হয়। এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের মানুষের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং গণতন্ত্র সুসংহত হবে।
মন্ত্রী বলেন, তৃণমূলে সরকারের যেসব ছোট ছোট প্রকল্প আছে, সেগুলো জেলা পরিষদ বাস্তবায়ন করবে।
শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কয়েকজন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।
মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুণ্ড প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শপথ নিলাম। পরিষদের কাজ কী হবে, সেটা এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর বোঝা যাবে আমাদের কী করতে হবে।’
ঝিনাইদহের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাশ বলেন, আস্তে আস্তে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। কী করতে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও এটা পরিষ্কার যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
গাজীপুরের সংরক্ষিত সদস্য রাশিদা খন্দকার বলেন, নারী সদস্যদের দিয়ে তো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো হয় না। জেলা পরিষদেও তা-ই হবে নিশ্চয়।
দুই যুগের বেশি সময় আগে উপজেলা পরিষদ গঠিত হলেও পরিষদ এখনো তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি বুঝে পায়নি। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসন ও সাংসদ পরিষদের কাজে সহযোগিতা করেন না।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.