আমাজনের অ্যালেক্সা আছে, গুগলের আছে গুগল নাও। ডিজিটাল সহকারী তৈরির দৌড়ে মাইক্রোসফট কোথায়? ঠিক এই প্রশ্নটাই করেছিলেন সিএনএন উপস্থাপক স্যামুয়েল বুর্ক। তাও আবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলার কাছে। নাদেলার দৃঢ়কণ্ঠে উত্তর, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, প্রতিটা উইন্ডোজ কম্পিউটারে করটানা আগে থেকেই ইনস্টল করা আছে। করটানার সুবিধা নিতে ব্যবহারকারীদের আলাদা কোনো যন্ত্র কিনতে হচ্ছে না।’
সবচেয়ে বড় কথা, মাইক্রোসফট ডিজিটাল সহকারী করটানাকে শুধু নিজেদের তৈরি যন্ত্রে সীমাবদ্ধ রাখছে না। নাদেলার বক্তব্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান এমন কিছু তৈরি করছে, যেকোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে করটানা তাঁদের সফটওয়্যার হোক কিংবা যন্ত্রে করটানার সুবিধা দিতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে নাদেলা বলেন, হারম্যানের পরবর্তী স্পিকারে করটানার সুবিধা থাকবে। অন্যদিক নিসানের তৈরি গাড়িতেও পাওয়া যাবে করটানা। এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মাইক্রোসফট।
তবে সত্য নাদেলার ভাষায় ‘নেক্সট বিগ থিং’ হলো যন্ত্রের সঙ্গে কথোপকথন। এখন ভয়েস কমান্ডের সাহায্যে করটানার কাছে কোনো কিছু জানতে চাইলে উত্তরে সে তথ্য জানায় করটানা। কিন্তু দীর্ঘ কথোপকথনের পুরো সময়টা কথার ধারা ধরে রাখতে পারে না। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানুষের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করবে করটানা। আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া উত্তরের বাইরে নিজে বুঝে নিজের মতো করে উত্তর দেবে এই ডিজিটাল সহকারী। এরই মধ্যে চীনে এমন এক ডিজিটাল সহকারী স্থাপন করা হয়েছে, যেটি পর্যটকদের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.