পুনর্বাসন না করে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানালো বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।
শনিবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে আলোচনা সভায় এ দাবি জানান ইউনিয়নের নেতারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো প্রকৃত হকারদের তালিকাভুক্ত করে পরিচয়পত্র দেয়া। পথবিক্রেতা সুরক্ষা আইন করে তালিকাভুক্ত হকারদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে অর্থ নিয়ে, সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি যোগ করে স্থায়ীভাবে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা। ফুটপাতের হকারদের পুর্নবাসনের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করা।
বক্তারা বলেন, হকারদের সংসার আছে। তাই মানবিক বিষয় চিন্তা করে হকারদের জন্য ফুটপাতের ৫০ শতাংশ জায়গা দিতে হবে। ভারতে হকারদের জন্য করা ২০১৪ সালের আইন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ব্যবসার ধরন অনুযায়ী, স্বল্প মেয়াদে স্থান নির্দিষ্ট করে ধীরে ধীরে ফুটপাত থেকে স্থানান্তর করা যেতে পারে। কিন্তু এ পথে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তারা হাঁটছেন না।
মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, একজন বিদেশি নাগরিকও বাংলাদেশে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে ব্যবসা করার সুযোগসহ লালগালিচা সংবর্ধনা পায়। তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। কিন্তু হকাররা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা পায় না। উল্টো তাদের নির্যাতন উচ্ছেদের শিকার হতে হয়। তিনি বল প্রয়োগের মাধ্যমে উচ্ছেদ বন্ধ করে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পুনর্বাসন পরিকল্পনা নেয়ার অনুরোধ জানান।
সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল হাশেম কবির সভাপতিত্ব করেন। এ সময় জাতীয় কমিটির অন্যতম সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা সেকেন্দার হায়াৎ, হকার সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্জুর মঈন বক্তব্য দেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.