শারজিল খান যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন মনে হচ্ছিল অঘটন একটা ঘটলেও ঘটতে পারে। অবিশ্বাস্যভাবে জিতেও যেতে পারে পাকিস্তান। কিন্তু বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পরই আবার ফুটে উঠল পাকিস্তানের হতশ্রী চেহারা। ৩৫৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে গেল ছয় ওভার বাকি থাকতেই, ২৬৭ রানে। মাঠ ছাড়তে হলো ৮৬ রানের হার নিয়ে।
ব্যাট হাতে ঝড় তুলেই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের কাজটা অনেকখানি নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শুরুতে ওয়ার্নার খেলেছিলেন ১১৯ বলে ১৩০ রানের ইনিংস। আর শেষপর্যায়ে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ট্রেভিস হেডের ৫১ ও স্টিভেন স্মিথের ৪৯ রানের ইনিংস দুটিও বড় অবদান রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহের পেছনে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পেরেছেন শুধু শারজিল খান। ৪৭ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অজি বোলারদের যেন একাই জবাব দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। মেরেছেন ১০টি চার ও তিনটি ছয়।
কিন্তু ১৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলে শারজিল আউট হওয়ার পর চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। ৪০ ও ৪৭ রানের ইনিংস খেলে কিছুক্ষণ লড়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক। কিন্তু এই দুজনের বিদায়ের পর কেবলই আসা যাওয়া করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ৪৩.৫ ওভারে ২৬৭ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নার যোগ করেন ৯৩ রান। খাজার বিদায়ের পর অধিনায়ক স্মিথের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি বাধেন ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতক পান ওয়ার্নার। ৯৮ বলে শতক পূর্ণ করা ওয়ার্নার ১১৯ বলে ১১ চার ও দুটি ছক্কায় করেন ১৩০ রান।
এরপরই মাত্র ১০ ওভারে ১০০ রানের জুটি বাধেন ম্যাক্সওয়েল ও হিড। ৪৪ বলে ১০ চার ও এক ছয়ে ৭৮ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। পাকিস্তানের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.