খুব সম্ভবত এটিই ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ। খেলা শুরুর আগে কাঁদছে দুদলের সমর্থকরাই। মাঠে বল গড়ানোর আগে চ্যাপেকোয়েন্সের অধিনায়কের হাতে তুলে দেওয়া হলো কোপা সুদামেরিকানার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এই সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না কেউ। ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম বিয়োগান্তক বিমান দুর্ঘটনায় চ্যাপেকোয়েন্সের ৭১ জন ফুটবলার-কর্মকর্তা প্রাণ হারানোর পর এই প্রথম মাঠে নামল ব্রাজিলের দলটি।
অ্যারিনা কোন্দায় চ্যাপেকোয়েন্সের প্রতিপক্ষ ছিল পালমেইরাস। সৌহার্দ্যের খেলায় অবশ্য জেতেনি কোনো পক্ষই। ২০ হাজার দর্শকের সামনে প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় পালমেইরাস। অবশ্য এদিন গোল উদযাপন করেনি দলটি। গোল পরিশোধ করলে আনন্দ করেনি চ্যাপেকোয়েন্সের ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জেতেনি কোনো দল। ২-২ গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চ্যাপেকোয়েন্স। তুমুল আলোচিত এই ম্যাচটি কাভার করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৪১ জন সাংবাদিক।
গত ২৯ নভেম্বর মেদেলিনের অ্যাথলেটিকো ন্যাশনাল দলের বিপক্ষে কোপা সুদামেরিকানার ফাইনালে অংশ নিতে কলম্বিয়ায় যাচ্ছিলেন চ্যাপেকোয়েন্সের ফুটবলাররা। বিমানটি ভিরু ভিরু বিমানবন্দর থেকে কলম্বিয়ার জোসে মারিয়া কর্ডোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। তবে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই এটি রাডারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জ্বালানি সংকটের কারণে কলম্বিয়ায় লা ইউনিয়ন শহরের কেরো গোর্দো শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৪ সালে ব্রাজিলে প্রথম বিভাগের দল হিসেবে মর্যাদা পায় ক্লাবটি। এর পরই বিস্ময়করভাবে উত্থান হতে থাকে দলটির। কিন্তু মর্মান্তিক এক বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে থেমে গেছে চ্যাপেকোয়েন্স রূপকথা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.