চেতেশ্বর পূজারা: অবশ্যই। ইরানি ট্রফিটা আমার জন্য অনুশীলনের খুব ভালো সুযোগ হয়েই এল। রান পেয়েছি, দল সাফল্য পেয়েছে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। (ঋদ্ধিমান) সাহার সঙ্গে আমার জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের আগে প্রস্তুতির জন্য খুব ভালো মঞ্চ ছিল এটা। * এখন আপনি শুধু টেস্টই খেলছেন। প্রস্তুতিও সারলেন পাঁচ দিনের ম্যাচ দিয়ে। অন্যদিকে আপনার বেশির ভাগ সতীর্থ এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত। মাত্র একটি সংস্করণে খেলার কি এটাই সুবিধা? পূজারা: ঠিক বলেছেন। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেঞ্চুরি আত্মবিশ্বাস বাড়াবেই। আপনি মনোযোগ ফিরে পাবেন, ফিরে পাবেন ছন্দও। আপনার পা-ও ঠিকঠাক নড়তে শুরু করবে। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে এসবই গুরুত্বপূর্ণ। * বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট নিয়ে কী ভাবছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের কন্ডিশন তো প্রায় একই রকম। পূজারা: বাংলাদেশ খুব ভালো দল। এশিয়ায় তারা ভালো করছে। আমরা ওদের হালকাভাবে নিতে পারি না। একই সঙ্গে এটাও বলব, আমাদের বোলাররা কিন্তু খুব ভালো করছে। আমাদের ফাস্ট বোলাররা, স্পিনাররা দারুণ বোলিং করছে। (ব্যাটিংয়ে) অবদান রাখছে লোয়ার মিডল অর্ডারও। আমরা যদি এই খেলাটা চালিয়ে যেতে পারি তাহলে ওদের হারানো সম্ভব। * বাংলাদেশের পরেই আসছে অস্ট্রেলিয়া। ওদের তো একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। ভারত কি সুযোগটা নিতে পারবে? পূজারা: আপনি অস্ট্রেলিয়াকে ছোট করে দেখতে পারেন না। ওরা দেশে ভালো খেলে, আমরা এখানে সুবিধা পাই। তবে ওরা সব সময়ই কিছু না কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আসে। আমাদেরও পাল্টা পরিকল্পনা সাজাতে হবে। * টানা ১৮ টেস্টে অপরাজিত ভারত। এটি ভারতীয় রেকর্ড। এই দলটা কি ইতিহাস নতুন করে লিখতে পারবে? পূজারা: পরিকল্পনা তো এটাই। আমরা আলোচনাও করি। আমরা এখন এক নম্বর, গুরুত্বপূর্ণ হলো অবস্থানটা ধরে রাখা। ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে হবে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি গত বছরের ফর্মটা এবারও ধরে রাখতে পারব।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.