বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার ‘ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র’ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে টেলিফোনে কথা হতে পারে আজ। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এই দু’ব্যক্তির সম্পর্ক ও নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে যত বেশি আলোচনা, সমালোচনা জন্ম দিয়েছে তা বিশ্বের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। দু’নেতা একে অন্যের প্রশংসা করেছেন মন খুলে। আজ যখন তারা ফোনে কথা বলবেন তখন কী কী ইস্যু উঠে আসতে পারে! সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার শেষ দিকে রাশিয়ার ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করেছেন। এর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শর্তসাপেক্ষে তিনি ওই অবরোধ প্রত্যাহার করবেন। তাহলে কী আলোচনার অগ্রাধিকারে প্রাধান্য পাবে এ ইস্যুটি! দুই পরাশক্তি বৈরিতা ভুলে গড়ে তুলবে এক শান্তিময় বিশ্ব! কোনদিকে মোড় নেবে সিরিয়া, ইরাকযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি! কী হবে ফিলিস্তিন-ইসরাইল, ইয়েমেন, ইরান নিয়ে উত্তেজনার! কোন ইস্যু নিয়ে তারা একান্ত ফোনালাপ করবেন! এমনতরো অসংখ্য ইস্যু আছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার ইঙ্গিত দিয়েছেন তার আগ্রহ থাকবে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলায়। তড়িঘড়ি করে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন না। তবে তার আগে ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা কেলিয়ানি কনওয়ে ফক্স নিউজকে বলেছেন, যখন দু’নেতা কথা বলবেন তখন রাশিয়ার ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ প্রত্যাহারের ইস্যুটি উঠে আসবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আরোপিত অবরোধ আলোচনায় উঠে আসবে কি না এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অন্যদিকে প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়টি বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। গত ২০শে জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তারপর এটাই হবে পুতিনের সঙ্গে তার প্রথম ফোনালাপ। এতে যোগ দিতে পারেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.