মঙ্গল গ্রহে ইউনিয়ন অ্যারোস্পেস করপোরেশনের প্রতিষ্ঠিত গবেষণা অঞ্চলে পরিচালক স্যামুয়েল হেইডেনের পরিচালনায় ডুমের যাত্রা শুরু হয়। মস্তিষ্কের ক্যানসারে প্রাকৃতিকভাবে তার চিন্তাশক্তি নষ্ট হয়ে গেলে তা একটি অ্যান্ড্রয়েড বাড়িতে কৃত্রিম উপায়ে রাখা হয়। আরজেন্ট টাওয়ারের মাধ্যমে গবেষকেরা পৃথিবীর শক্তি আহরণের চেষ্টা করে। এই মিশনের উদ্দেশ্য সাধনে শক্তি আহরণের পাশাপাশি নরকের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখানো হয়।
হেইডেন এরই মধ্যে কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বন্দী দৈত্যদের আর নরকের তৈরি বেশ কিছু কীট নিয়ে আসে। এর মধ্যে একটি কীট ছিল নরকের পাথরের তৈরি, যেখান ডুম স্লেয়ারকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এমনই এক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক ভৌতিক গেম ডুম-৪। গেমটি গত বছর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লেস্টেশন ৪ ও এক্সবক্স ওয়ান সংস্করণের জন্য বেথেসডা সফট ওয়ার্কস প্রকাশ করে। গেমটি ডেভেলপ করেছে আইডি সফটওয়্যার। ডুম সিরিজের চতুর্থ গেম হিসেবে এটি বেশ আলোচিত একটি গেম।
গবেষণাক্ষেত্রের ওলিভিয়া পিয়ারস নামে একজন বিজ্ঞানী দৈত্য-দানবদের সঙ্গে চুক্তি করে নরকের একটি পোর্টাল খুলে দেয়। তারপর দৈত্য-দানবেরা ওই গবেষণাক্ষেত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ চালাতে থাকে। দৈত্য-দানবদের আক্রমণ প্রতিরোধে ও পোর্টাল বন্ধ করে দিতে ডুম স্লেয়ারকে মুক্ত করে দেয় হেইডেন। দায়িত্ব পেয়ে ডুম স্লেয়ার যুদ্ধ শুরু করে এবং নরক ঘুরে আসে। সে নরক থেকে ক্রইসেবল নামের জাদুকরি বেলগড চুরি করে নিয়ে আসে। এই ক্রইসেবল কাজে লাগিয়ে পোর্টালকে ধ্বংস করে দেয় সে। কিন্তু ডুম স্লেয়ার মঙ্গল গ্রহে ফিরে এলে হেইডেন তার কাছ থেকে ক্রইসেবল বাজেয়াপ্ত করে।
সিদ্ধান্ত নেয় গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার। ডুম স্লেয়ার যেন কোনো ঝামেলা করতে না পারে, তাই তাকে গোপন একটি স্থানে বন্দী করা হয়। গেমটি খেলতে হবে নামহীন এক মেরিন সৈন্যের চরিত্রে। যে দৈত্য-দানবদের হাত থেকে গবেষণাক্ষেত্রকে রক্ষা করবে।
খেলতে যা লাগবে
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আইফাইভ
র্যাম: ৮ গিগাবাইট
গ্রাফিকস কার্ড: এনভিডিয়া জিটিএক্স ৬৭০ অথবা এএমডি রেডন ৭৮৭০
হার্ডডিস্ক: ৫৫ গিগাবাইট ফাঁকা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.