বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগের রীতি সেই আদিকালের। কিন্তু বর্তমান সময়টাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল যুগ। তাই সময়ের সঙ্গে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নর্ডিক দেশ ডেনমার্ক। গত শুক্রবার অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট ও ফেসবুকের মতো বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় ‘ডিজিটাল রাষ্ট্রদূত’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে দেশটি। এর আগে এমন নজির আর নেই। ড্যানিশ সংবাদমাধ্যম পলিটিকেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডার্স স্যামুয়েলসেন বলেন, ‘বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ডেনমার্ককে ততটাই প্রভাবিত করে যেমনটা করে পুরো একটা দেশ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নতুন ধরনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এবং আমাদের সে সত্যের মুখোমুখি হতে হবে।’ স্যামুয়েলসেনের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই কারণ বর্তমানে বিশ্বের বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বেশি, বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং অনেক দেশের চেয়ে সেগুলোর আন্তর্জাতিক প্রভাবও বেশি। নতুন রাষ্ট্রদূত এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি, তবে এই উদ্যোগ ওয়াশিংটনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপন করবে। ট্রাম্প-প্রশাসনের আমলে যেটা উভয় পক্ষের উপকারে আসবে। তা ছাড়া ডিজিটাল রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ফলে হয়তো ডেনমার্কে ডিজিটাল ব্যবসাগুলোর বিনিয়োগ বাড়বে। দেশটির ঝুলিতে এরই মধ্যে অবশ্য বেশ কিছু সাফল্য আছে। অ্যাপল ও ফেসবুক ডেনমার্কে বড়সড় ডেটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে নতুন কর্মসংস্থান এবং আয়ের উৎস তৈরি হবে। তবে ডিজিটাল রাষ্ট্রদূত নিয়োগের অর্থ এই নয় যে বিভিন্ন দেশে থাকা দূতাবাস বন্ধ করে দেবে ডেনমার্ক। গুগল ও অ্যাপল চাইলে অনেক কিছু কিনতে পারে, অনেক কিছু বদলে দিতে পারে, কিন্তু এর কোনোটাই এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেবে না। সূত্র: টুইটার
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.