নিজস্ব প্রতিবেদক ::বাংলাদেশে জ্বালানী তেলের বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রগুলো এবং তেলের ডিপো থেকে তেল দেওয়ার সময় পর্যাপ্ত পরিমানে চুরি হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।
মঙ্গলবার(১৯ এপ্রিল) বিকালে নগরীর আগ্রবাদ বানিজ্যিক এলাকার পদ্মা অয়েল কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে ‘পদ্মা ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “বাংলাদেশের জ্বালানী খাতের একটি প্রধান সমস্য হচ্ছে তেল চুরি।”
তিনি আরো বলেন, “১৯৮৬ সালে পদ্মা অয়েল কোম্পনী যে অবস্থা নিয়ে যাত্রা শুরু করছিল অত্যান্ত ছোট পরিসরে তা আজও একই রকমই আছে , কোন প্রকার উন্নতি করতে পারেনি, বিদেশের কোম্পনীর সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না।”
‘সরকারের সম্পদ মানে জনগনের সম্পদ, একটি টাকা পদ্মা অয়েল কোম্পনী বাচাঁতে পারলে তার মালিক দেশের ১৬ কোটি জনগন, এখানকার কর্মকর্তাদেরকে চুরি বাদ দিয়ে কোম্পনীর আয় বাড়ানোর মনেযোগ দিতে হবে, বলেন তিনি।
মন্ত্রী বাংলাদেশ পেট্রিলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ ব্যাংকে এফডিআর করে টাকা রেখে সুদের টাকায় আয় বাড়ানোর চেষ্টা আর করবেন না, নতুন নতুন ব্যবসাক্ষেত্র তৈরী করেন। যদি কোন ব্যবসা না করে ব্যাংক ভর্তি টাকা রেখে সুদ আয় করেন তাহলে সরকার টাকা মন্ত্রনালয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, “বহিনোঙ্গরে ও রেল স্টেশনে তেল চুরি বন্ধ করার জন্য ৭০০ মিলিয়ন টাকা ব্যয় করে এইচপিএল নতুন পাইপ লাইনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, যে পরিমান তেল অপচয় ও চুরি হয় তা আর হবে না।”
মন্ত্রী বলেন, “বিদেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি সবুজ পাসপোট দেখেলে তারা চেহারার দিকে কেমন ভাবে তাকায় তা লজ্জা জনক। আমরা আর লজ্জা দেখতে চাই না। দেশেকে উন্নত করতে চাই। পদ্মা অয়েল একটি ভবন করার জন্য আড়াই বছর সময় নিয়েছে। যদি ভবন তৈরী করতে আরো ৬ বছর সময় লাগে তাহলে দেশ উন্নত হবে কিভাবে?
“এখন দেশের ৭৮ ভাগ লোকের কাছে বিদ্যুৎ পৌছানো হয়েছে, যা ৮ বছর আগে ছিল ৪২ ভাগ।২০১৮ সালের মধ্যে সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌছানো হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো.মাহমুদ রেজা খান। পদ্মা ভবনের প্রকল্প পরিচালক নোমান আহমেদ তফাদার।
০.৪২ একর জমির উপর পদ্মা অয়ের কোম্পানীর নিজস্ব অর্থায়নে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রযেক্ট প্রপ্রার্টিজ লিমিটেডকে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.