ইউরোপের নেতারা বলছেন ইউরোপগামী শরণার্থীদের ঠেকাতে তুরস্কের সাথে যে চুক্তি হয়েছে তা কাজ করতে শুরু করেছে। ওই চুক্তিটিকে এগিয়ে নিতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা শনিবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। মেরকেলের সাথে ছিলেন ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্স টিম্যারম্যান্স। তারা সিরীয় সীমান্ত সংলগ্ন নিজিপের একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে ইইউর আর্থিক সহায়তায় সিরীয় শিশুদের সহায়তায় একটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
তারা তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগ্লুর সাথে বৈঠকে মিলিত হন। ডোনাল্ড টাস্ক দাভুতোগ্লু এবং তার সরকারের প্রশংসা করে বলেন যে এই শিবির বলে দিচ্ছে যে তুরস্ক ‘শরণার্থীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হয় সেক্ষেত্রে তুরস্ক সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তার দেশ ৩০ লাখ সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের পেছনে ১০০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। তুরস্কে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী বাস করছে। টাস্ক জানান, চলতি গ্রীষ্মে ইইউ সিরীয় শরণার্থীদের জন্য ১১০ কোটি ডলার ব্যয় করবে।
সিরীয় শরণার্থীদের ঠেকাতে গত মাসে তুরস্কের সাথে একটি চুক্তি করে ২৮ সদস্য বিশিষ্ট ইইউ। এতে সিরীয় শরণার্থীদের জন্য তুরস্ককে কোটি কোটি ডলার সহায়তা এবং তুর্কি নাগরিকদের ইউরোপে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে অ্যাঙ্গেলা মেরকেল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা নয়, বরং শরণার্থীদের বাড়ির পাশেই যেন পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকে তা দেখা। তিনি বলেন, প্রতিটি শরণার্থী শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। মেরকেল বলেন, নিজিপ শিবিরে তুরস্কের প্রচেষ্টা দেখে তিনি ‘অত্যন্ত অভিভূত হয়েছেন।
দাভুতোগ্লু বলেন, ইইউর সাথে চুক্তির সব শর্ত পূরণ করেছে তুরস্ক। এর মধ্যে রয়েছে শরণার্থীদের জন্য কাজের অনুমতি। তিনি বলেন, এজিয়ান সাগর দিয়ে গত নভেম্বর যেখানে দৈনিক ৬০০০ লোক ইউরোপে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করত, তুরস্কের পদক্ষেপের কারণে তা এখন নেমে এসেছে মাত্র ১৩০ জনে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.