সুস্থ ও স্বাভাবিক মানসিকতার মানুষজন নিজের সম্পর্ককে অনেক বেশী পবিত্র রাখতে চান। নিজের সঙ্গীকে কখনোই না কষ্ট না দেয়ার প্রতিজ্ঞা নিজের মনে মধ্যেই করে ফেলেন অনেকে। কিন্তু মনের উপরে তো জোর চলে না। অনেক সময় অনেকে ভালোলাগার বিষয়টিকে মনে করেন ভালোবাসা। পরবর্তীতে যখন নিজের ভুল বুঝতে পারেন তখন সম্পর্কটাকে অনেক অসহ্য মনে হতে থাকে। তাই নিজে প্রথমে নিজের আসল অনুভূতিটা বুঝে নিন। নিজের মনকে প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। যতক্ষণ না এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাচ্ছেন ততক্ষণ সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো।
আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার সঙ্গীর হাসি আপনার জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর হাসির জন্য আপনি কি কি করতে পারেন? যদি মনে করেন সঙ্গীর হাসির জন্য আপনি জীবনের অনেক কিছুতেই ছাড় দিতে পারেন তাহলে সঙ্গীকে নিজের করে নিন, নতুবা নয়।
নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি ঠিক কেন সঙ্গীকে ভালোবাসেন? সঙ্গীর কোন জিনিসটির জন্য তাকে পুরো জীবন ধরে রাখতে প্রস্তুত আপনি তা খুঁজে বের করুন। সঙ্গীর প্রতি যদি এই জিনিসটি থাকে যে বাহ্যিক নয় অভ্যন্তরীণ সবকিছু নিয়েই আপনার মনের অনুভূতি তাহলেই সম্পর্কে জড়াবেন। কারণ সঙ্গীকে ধরে রাখার ক্ষমতা তখনই আপনার মধ্যে তৈরি হবে।
আপনার বর্তমান, ভবিষ্যত এবং নিজের লক্ষ্য সব কিছুতেই কি নিজের সঙ্গীর জন্য আলাদা স্থান রেখে ভাবতে পারেন? যদি ভাবতে পারেন তাহলে তাকে নিয়েই জীবন কাটানোর কথা ভাবুন। কারণ নিজের ভবিষ্যতের সাথে যাকে দেখতে পান তিনিই আপনার জন্য পারফেক্ট এবং আপনার অনুভূতিও তার প্রতি প্রবল থাকবে।
জীবনটা খুব সহজ কিছু নয়, জীবনে খুব বেশী নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। সঙ্গীর সাথে জীবন কাটানোর ব্যাপারটিও অনিশ্চিত। কিন্তু আপনাকে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন আপনার এবং আপনার সঙ্গীর জীবনে যাই ঘটুক না কেন আপনি সঙ্গীর সাথেই থাকতে পারবেন এবং সব কিছুর জন্য প্রস্তুত কিনা। যদি প্রস্তুত হয়ে থাকেন তবেই জড়াবেন, তা না হলে নয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.