প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইকক। ছবি : ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ১৬টি গ্রুপ দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবে এদের শিকড় একই জায়গায়। আর সেটা হচ্ছে জামায়াত। বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সংসদ ভবন কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান।
২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত চক্রের বর্বরতা ও অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ কর শেখ হাসিনা বলেন, তারা সেই সময় জনগণকে পুড়িয়ে হত্যা এবং তাদের সম্পদ ধ্বংস করেছে।
সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, সন্ত্রাসীরা এখন মসজিদের ইমাম, গির্জার ফাদার এবং পেগোডার ভিক্ষুদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে তাঁর দল ব্যাপক আলাপ-আলোচনা ও সেমিনারের নীতি নিয়েছেন।
বৈঠকে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অসামান্য সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, তাঁর মেয়াদকালে ঢাকার লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমাগত বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র পাঁচ বছরে বাণিজ্যের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গ্রেগ উইলকক ক্রীড়া ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপা করে বলেন, বিকেএসপির আরো উন্নয়নে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড সহায়তা করতে চায়।
এই প্রসঙ্গে বিদায়ী হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় জাতীয় দলের একটি সফরের জন্য তাঁর দেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কাজ করছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তাঁর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট একাডেমি পরিদর্শনের কথা স্মরণ করেন।
জ্বালানি খাতে সহযোগিতা প্রসঙ্গে আলাপকালে হাইকমিশনার বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সান্তোস কোম্পানি বাংলাদেশের বাপেক্সের সঙ্গে কাজ করতে চায়।
নিরাপত্তা ইস্যু সম্পর্কে হাইকমিশনার কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এখাতে তথ্য বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
দু’মাস আগে পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হকের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা উল্লেখ করে গ্রেগ উইলকক বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে পরামর্শ হয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার বাংলাদেশে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.