দুই নম্বরীর যেন শেষ নেই । আর এ থেকে সহসা যে আমাদের মুক্তি মিলবে তাও বুঝা যাচ্ছেনা । কারণ আপনি বাজারে যা কিনবেন তাই হয় চায়না না হয় হাইব্রিড ! হুম ব্যাপারটি একদম ঠিক ।
কি বিশ্বাস হচ্ছেনা তো । আর কিইবা বলবেন যেখানে বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়াররা রডের বদলে বাঁশ দিচ্ছে যখন সেখানে চীনের আর দোষ কি ।
যাক সে কথা । এবার আসি মূল কথায় । ধরেন , আপনি বাজারে গিয়ে কিনে আনলেন মিনিকেট বা ভালো বাঁশকাঠি চাল। হাঁড়িতে সে ভাত ফুটলও। দিব্যি খেয়ে ফেললেন। কিন্তু, জানলেনও না, আপনি যে চালের ভাত খেলেন, সেটা কৃত্রিম চাল, আসলে প্লাস্টিক ছাড়া কিছু নয়।
হুম , অবশ্য আপনি তাতে অবিশ্বাস আপনি করতেই পারেন। কিন্তু এটাই সত্যি । আর এভাবেই চীন নকল প্লাস্টিকের চালে এশিয়ার বাজার ধরে নিচ্ছে।
এমনকি খোদ যারা চালের ব্যবসায়ী , দিনরাত চাল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁরাও ধরতে পারেননি চিনের এই চালাকি।
আর পাঁচটা চাইনিজ জিনিস যেমন সস্তায় মেলে, তেমন সস্তায় চাল কিনে, ব্যাপক মুনাফা করতে সেই নকল চালই বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
যদিও এর আগে নকল ডিম বানিয়েও দেদার আয় করেছে চীন। বাইরে থেকে দেখে, এমনকি ডিম ফাটিয়েও কারও ধরার ক্ষমতা হয়নি, সে ডিমও নকল। না হাঁসের, না মুরগির।
এই ডিম নাকি ভারতের বাজারেও বিক্রি হয়েছে। ভারতীয়রা সব সময় সস্তায় জিনিস কিনতে চায়। এই কারনে চীনের প্লাস্টিকের চাল নিয়ে ভারতের শঙ্কা।
ভারতের বাজারেও দেদার বিকোচ্ছে এই সস্তার চাল। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামেও যাচ্ছে। সস্তায় দিচ্ছে বলে, নকল চালেও চালের বাজার গ্রাস করে নিচ্ছে চীন। বাংলাদেশের বাজারেও যে নেই, কে বলতে পারে!
চীনের এই প্লাস্টিকের চাল এতটাই চালের মতো রান্নার আগে বুঝতেও পারবেন না, সেটা প্লাস্টিকের কিনা। এমনকি পাশাপাশি রেখে আসল-নকল বোঝার উপায় নেই। রান্না করে বুঝবেন, ভাতটা মনমতো হল না। সেই স্বাদও পাবেন না। সম্প্রতি কেরালায় এমন নকল চাল প্রথমে নজরে আসে।
তখনই খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চীন থেকে এই নকল চালের দেদার আমদানি হচ্ছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু ও রাঙাআলু মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এই নকল চাল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে জানিয়েছেন, এই প্লাস্টিকের চাল কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেও সুখের নয়। নিয়মিত খেলে প্রাণসংশয় হতে পারে।
তাই সাধু সাবধান ; বাজার থেকে ভালো মানের চাল কেনার আগে যাচাই করে নিন আপনি টাকা দিয়ে কি কিনছেন !
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.