জাতীয় সংসদে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার।
রোববার ইউনূস সেন্টারের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, “২৫ জানুয়ারি ২০১৭ তে সংসদে দাঁড়িয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে খুবই বেঠিক এবং অসত্য কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগেও বেশ কয়েকবার এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং সবসময় ইউনূস সেন্টার সেসবের জবাব দিয়েছে।”
“২০১১ সালের পর থেকেই বার বার এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর বারবারই সেসব প্রশ্নের জবাব দিয়ে এসেছি আমরা। সেসব ফলাও করে বেশ কিছু পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে। ২০১২ সালে জাতীয় পত্রিকার পুরো পেজ জুড়ে সেসব প্রকাশিতও হয়। কিন্তু আমরা দু:খিত যে আমাদের আবার সেই প্রতিক্রিয়াই পুনর্ব্যক্ত করতে হচ্ছে। আমরা আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রফেসর ইউনূসের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টা সামনে নিয়ে আসছি।”
‘সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, ইউনুসের অনেক অনেক টাকা রয়েছে কিন্তু তিনি কর প্রদান করেন না। ট্যাক্সম্যানের কাছে কর না দেওয়ার আবেদন করেন। এমনকি ফিক্সড ডিপোজিটে রাখা বিশাল পরিমাণ টাকার জন্যও তিনি কর প্রদান করেন না। আমরা তার অর্থের উৎস জানিনা। কোথা থেকে এত টাকা এসেছে তাও জানিনা।’
“এর জবাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া: কর প্রদান না করার অভিযোগ পুরোপুরিই ভিত্তিহীন। নিয়মিত পরিপূর্ণ কর প্রদান করেন প্রফেসর ইউনূস। এমনকি প্রতিবছর সাবস্ট্যানশিয়াল করও প্রদান করেন তিনি। সংসদে দাঁড়িয়ে জাতিকে ভুল তখ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অজুহাত তৈরি করে কখনোই কর ফাঁকি দেননি প্রফেসর ইউনূস। তার কর প্রদানের ফাইল বারবার তদন্ত করা হয়েছে কোনো ভুল বের করার জন্য, কিন্তু সবসময় সেটা পরিচ্ছন্ন দেখা গেছে। এর আগে খবরের কাগজেও দেখা গেছে সবগুলো ব্যাংককে তার ও তার স্ত্রীর অর্থনৈতিক লেনদেন সম্পর্কে জানানোর কথা বলা হয়েছিলো। সেখানেও নতুন কোনো তথ্য বের হয়ে আসেনি।”
গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গ্রামীণব্যাংক এবং তার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর মুহম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে প্রশ্ন এলে তার জবাবে ড. ইউনূসের নাম উচ্চারণ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনি লড়াইয়ে হেরে তিনি দেশে-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেন।
এসময় ড. ইউনূস তার আয় করা টাকার ট্যাক্স দেন না বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা। দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে এই কথা বলে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নিলেও শেষ পর্যন্ত ওই টাকা ড. ইউনূস নিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.