বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন বলেছেন, দ্বি-স্তরের নির্বাচক কমিটি নিয়ে ফারুক আহমেদের আপত্তি থাকলে তিনি চলে যেতে পারেন। সোমবার সাংবাদিকদের কাছে বিসিবি সভাপতি একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) অতীত দেখে তাকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক আলাপে প্রধান নির্বাচক পদটা ছিলই না। তাকে সম্মান দিতেই এটা রাখা হয়েছে। এরপরও যদি ও মনে করে অস্বস্তি… সে পদত্যাগ করতে পারে।’
রোববার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।
এর আগে সন্ধ্যায় বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর মধ্যে একটি হলো- দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি অনুমোদন। এতে পুরুষ দলের নির্বাচক কমিটিতে ফারুক আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীনের সঙ্গে নতুন সদস্য হিসেবে এত দিন জুনিয়র নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা সাবেক ক্রিকেটার সাজ্জাদ আহমেদকে রাখা হয়।
অন্যদিকে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে পুরুষ ক্রিকেট দলের নির্বাচকের পদ থেকে সরিয়ে নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে। এই কমিটিতে জুনিয়র নির্বাচক হিসেবে এহসানুল হক, হাসিবুল হাসান ও হান্নান সরকারকে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, ফারুক আহমেদ ব্যক্তিগত সফরে এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি সংবাদিকদের টেলিফোনে জানান, ‘আমি ইতিমধ্যেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আগামী মাসের শুরুতে দেশে ফিরেই আমি বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
ফারুক বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে, এই প্রক্রিয়ায় আমি কাজ করব না। কারণ এভাবে নির্বাচক কমিটি কখনোই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। বরং হস্তক্ষেপের সুযোগ বেশি। আর নির্বাচক কমিটি দ্বি-স্তরবিশিষ্ট করার কী দরকার ছিল, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি দেশে ফিরে অথবা এখান থেকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিতে পারি।’
গত ডিসেম্বরে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও বিসিবির অনুরোধে এই কয় মাস কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.