আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিদ্রোহী নেতা জেন-পিয়েরে বেমবাকে ১৮ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনুগত বাহিনীর গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেমবার বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
বেমবার বিরুদ্ধে কারাদণ্ড বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই প্রথম আফ্রিকার কোনো নেতার বিরুদ্ধে তাঁর অনুসারীদের গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে দণ্ড হলো। বেমবার আইনজীবীরা জানান, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করবেন।
বিবিসি জানায়, ২০০২-০৩ সালে বেমবার অনুসারী বিদ্রোহীরা কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে গণহত্যা চালায় ও ধর্ষণ করে। তিনি বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ড বন্ধে ব্যর্থ হন।
হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারক সিলভিয়া স্টেইনার বলেন, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে নিজের অনুগত বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন বেমবা। সেখানে গণহত্যা ও ধর্ষণ করেছে ওই বিদ্রোহীরা।
আদালতের রায়ে বলা হয়, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে বেমকাকে ১৬ থেকে ১৮ বছর কারাভোগ করতে হবে। এরই মধ্যে আট বছর কারাভোগ করেছেন বেমবা। তাই আদালত ঘোষিত দণ্ড থেকে এ সময় বাদ দেওয়া হবে।
কঙ্গোর বিখ্যাত ব্যবসায়ী বেমবা সাওলোনার ছেলে জেন-পিয়েরে বেমবা ১৯৯৮ সালে উগান্ডার সহায়তায় কঙ্গোতে এমএলসি বিদ্রোহী সংগঠন গড়ে তোলেন। ২০০৩ সালে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে তিনি কঙ্গোর ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার কাছে পরাজিত হন বেমবা। ২০০৭ সালে তিনি বেলজিয়াম পালিয়ে যান। ২০০৮ সালে বেমবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.