একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় দেশের দুই বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশকে ১০০ কোটি টাকা ফি দিতে হবে। আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ফি হিসেবে ওই অর্থ ধার্য করা হয়। বার্তা সংস্থা বাসস এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘রবি ও এয়ারটেলের প্রস্তাবিত একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় আমরা ফি নির্ধারণ করেছি। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।’
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘অর্থ বিভাগ, টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি সবদিক বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে দুই প্রতিষ্ঠানের একীভূত হওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্টের শুনানিও অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল।
বর্তমানে এয়ারটেল ১৫ মেগাহার্টজ টুজি স্পেকট্রাম ব্যবহার করছে। আগামী ২০২০ সালে এ লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে। যদি রবি পুরো স্পেকট্রাম নিয়ে নেয়, তবে এ জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) জমা দিতে হবে ৫০৭ কোটি টাকা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রতিষ্ঠান একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবির বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা দুই কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার। এয়ারটেলের গ্রাহকসংখ্যা এক কোটির ওপর। দেশের ছয়টি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রবি ও এয়ারটেলের অবস্থান যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ। পাঁচ কোটিরও বেশি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে আছে গ্রামীণফোন এবং এরপরই বাংলালিংকের অবস্থান।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.