ত্বকের রোগ সোরিয়াসিসের কারণ অজ্ঞাত। তবে এর সঙ্গে বংশগত ব্যাপার জড়িত। কারণ, সোরিয়াসিস সচরাচর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘটে।
এটি চর্মের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এটি সাধারণত ১০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে, তবে যেকোনো বয়সের রোগীকে আক্রমণ করতে পারে। সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে মামড়ি হয়। এই মামড়িগুলোতে ঘষা লাগলে খসে পড়ে এবং সাদা, ঝকঝকে অভ্রচূর্ণের মতো লাগে। মামড়ি ঝরে পড়লে বা সরিয়ে ফেললে নিচে যে ত্বক বেরিয়ে পড়ে, তার রং হয় লালচে এবং তার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তক্ষরণ ঘটতে দেখা যায়।
সচরাচর এই রোগ দেখা দেয় কনুই, হাঁটু, নিতম্বের খাঁজ এবং মাথার ত্বকে। নখের রং হলুদ বর্ণের হয়। নখ বেঢপ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নখের ওপর ছোটখাটো গর্ত দেখা যায়। আঘাতজনিত টিস্যুতে সোরিয়াসিস হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের অসুস্থতা এবং ফ্যারিংসে প্রদাহ দেখা দেয়।
সোরিয়াসিসের চিকিৎসা রোগের আক্রান্ত স্থান এবং এর তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। সীমাবদ্ধ ক্ষতের জন্য কেবল স্থানিক করটিকোস্টেরয়েড কিংবা কেরাটোলাইটিক এজেন্টের সঙ্গে মিশ্রণ দেখা যায়। ব্যাপক সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রে কেবল আলট্রাভায়োলেট-বি ব্যবহার করা যেতে পারে কিংবা কোলটারের সঙ্গে অথবা এনথালিনের সঙ্গে মিশিয়ে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে সোরলেন ইউভিন, মেথোট্রিক্সেট ও ইট্রোটিনেট। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.