যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড শহরে চলমান রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন তাঁর বিরোধীরা। অনেকে এ জন্য রিপাবলিকান শীর্ষ নেতৃত্বকে দোষারোপ করেন। আর জাতীয় সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়ে বিতর্কের কারণে দলটির মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার থেকে ক্লিভল্যান্ড শহরে শুরু হয়েছে রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কুইকেন লোনস অ্যারেনায় ১৮ থেকে ২১ জুলাই চারদিনব্যাপী এই সম্মেলনের জন্য জড়ো হয়েছেন সারা দেশের রিপাবলিকান নেতারা। এই সম্মেলনেই নির্ধারিত হবে চলতি বছর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী।
গতকাল সোমবার রিপাবলিকান সম্মেলনের প্রথম দিন ট্রাম্প ছাড়া ডেলিগেটরা অন্য কোনো প্রার্থী চান কি না এমন ভোট ভণ্ডুল হয়। অনেক রিপাবলিকানের মতে, দলের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করা হয়েছে। এই ভোটের মাধ্যমেই ট্রাম্পকে থামানোর সর্বশেষ আশা করেছিলেন তাঁর বিরোধী রিপাবলিকানকারা।
সম্মেলনে আরো প্রার্থী হবে কি না জানতে কণ্ঠভোট ডাকা হয়। এতে বিকল্প প্রার্থীর বিষয়টি নাকচ হয়ে যায়। এর সমালোচনা করেন ট্রাম্পবিরোধীরা।
বিশ্লেষকদের মতে, একেক করে ভোট চাওয়া হলে রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে ট্রাম্প বিরোধিতা প্রকটতা স্পষ্ট হয়ে দেখা দিত, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য হতো লজ্জাজনক। যে কোনো মূল্যে এমন পরিস্থিতি এড়াতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প সমর্থক রিপাবলিকানরা।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে রিপাবলিকান দলের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সম্মেলনেও দেখা গেছে। ‘নেভারট্রাম্প’ আন্দোলনকারী রিপাবলিকানরা সোমবারের সম্মেলনে বেশ সরব ছিলেন। যে কারণে রিপাবলিকান দলের বিভেদটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এবং জর্জ ডব্লিউ বুশ। এর কারণ হিসেবে ইরাক যুদ্ধ এবং ৯/১১ হামলার ঘটনায় বুশদের সমালোচনা এবং ওই পরিবারের অপর সদস্য জেব বুশকে নিয়ে ট্রাম্পের ব্যঙ্গ করার কথা বলেন বিশ্লেষকরা। বুশদের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্টপ্রার্থী মিট রমনি।
রিপাবলিকান দলের সম্মেলনের সময়সূচি অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার হাউস স্পিকার পল রায়ান এবং নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস স্টিস্টি বক্তৃতা করবেন। আগামীকাল বুধবার বক্তৃতা করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। আর শেষ দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে বক্তৃতা করবেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.