চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য সংযত ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিনিয়োগ বাড়াতে এই মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর ফজলে কবির। গত মার্চ মাসে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম মুদ্রানীতি।
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, দেশের অর্থনীতির টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের কার্যক্রমের সহায়তার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি পরিমিত ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সংযত ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হলো।
গভর্নর বলেন, মুদ্রানীতিতে সরকারের বাজেটে ঘোষিত ৭ দশমিক ২ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ও ৫ দশমিক ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিতে বর্ধিত মুদ্রায়নের চাহিদা পূরণে বেসরকারি বিনিয়োগের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য চলতি অর্থবছরের জন্য ব্যাপক মুদ্রার প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ বাড়িয়ে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতে এর পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধিও বাড়িয়ে প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের মুদ্রানীতিতে এর পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। গত মে মাসের মধ্যে আগের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হওয়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
গভর্নর বলেন, বেসরকারি খাতের ঋণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদন উদ্যোগগুলোর অর্থায়ন সাশ্রয়ী সুদে হওয়ার বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হবে। এর পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের তারল্য প্রয়োজনে পুনঃঅর্থায়নে, অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ও পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রকল্প খাতে অব্যাহত রাখা হবে।
গভর্নর জানান, মুদ্রানীতির ট্রান্সমিশন চ্যানেলগুলো অধিকতর কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আর্থিক বাজারে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.