ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল
মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে বিসিবির সংবাদ সম্মেলন কক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের ‘প্লেয়ার ড্রফট’। টুর্নামেন্টে ছয়টি দল ১৫ জন করে ক্রিকেটার দলে টেনেছেন। ছয়টি দল হলো, জেমকন গ্রুপ ‘খুলনা মাস্টার্স’, ইস্পাহানি ‘চট্টগ্রাম মাস্টার্স’, লংকা বাংলা ‘অলস্টার্স মাস্টার্স’, কনফিডেন্স গ্রুপ ‘ঢাকা মেট্রো মাস্টার্স’, জেবি গ্রুপ ‘ঢাকা মাস্টার্স’ ও রেনেসাঁ গ্রুপ ‘রাজশাহী মাস্টার্স’। সবমিলিয়ে ছয়টি দলে মেন্টরসহ অংশ নেয় মোট ৯০ জন সাবেক ক্রিকেটার। আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টটি চলবে। তবে ফাইনাল ম্যাচটি হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যদিও এখনও ফাইনালের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। অন্যদিকে ‘প্লেয়ার ড্রাফট’ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন কার্নিভালের কনভেনার জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন, আকরাম খান ও খালেদ মাসুদ পাইলট। সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলাতে বেশ কয়েকটি মহৎ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কানির্ভালের মাধ্যমে তহবিল গঠন করে সাবেক ক্রিকেটারসহ দেশের যে কোনো দুর্যোগে সাহায্য, ক্রিকেটে অবদান রাখা কোচ, সংগঠক, আম্পায়ার ও সাংবাদিকদের সম্মাননা দেয়া হবে বলে জানান খালেদ মাহমুদ সুজন। ১৫ সদস্যের দলে আগে থেকেই মেন্টর ও ছয়জন অধিনায়ক নির্ধারণ করে রেখেছিলো আয়োজকরা। গতকাল দলের বাকি ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এ সময় ফিক্সিংয়ের দায়ে বিসিবি কর্তৃক আজীবন নিষিদ্ধ শরিফুল হক প্লাবনের নাম তালিকাতে থাকায় সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আয়োজকদের। রেনেসাঁ গ্রুপ ‘রাজশাহী মাস্টার্স’-এ রয়েছেন এই নিষিদ্ধ ক্রিকেটার। এই বিষয়ে ইস্পাহানি ‘চট্টগ্রাম মাস্টার্স’ এর অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন, ‘টুর্নামেন্টটি বিসিবির নয় বলে আমরা এতটা গুরুত্ব সহকারে দেখিনি। আমরা আসলে জানতাম যে সে মুক্ত। তবে এখন জানতে পারলাম আজীবন নিষিদ্ধ। আমরা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবো। যদি বোর্ড আপত্তি করে তাকে আমরা বাদ দিয়ে দেবো।’ অন্যদিকে সদ্য জাতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচক কমিটি থেকে পদত্যাগ করা সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে রাখা হয়নি এবং কেন তিনি খেলছেন না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই বিষয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আসলে আমরা সকল ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ফারুক ভাই জানিয়েছিলেন তিনি আমাদের পরে জানাবেন। কিন্তু তিনি জানাননি, যে কারণে আমরা ভেবে নিয়েছি তিনি হয়তো খেলবেন না। আমরা আসলে এখানে কাউকে জোর করছি না। যার ইচ্ছা তিনিই রেজিস্ট্রেশন করে যোগ দিচ্ছেন।’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান ও অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। দুজনই একই আয়োজনের সঙ্গে ওয়ালটনে যুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমরা সব সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাশে ছিলাম। আর যখন শুনলাম এই মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল থেকে সাবেক ক্রিকেটারদের জন্য সাহায্য করা হবে আর ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সম্মাননা দেয়া হবে তখন এই আয়োজনে অংশ হয়েছি। ভবিষ্যতেও আমরা এই ধরনের উদ্যোগে সঙ্গী হবো।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.