চলতি প্রজন্মের আলোচিত সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার মধ্য দিয়ে সংগীতে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্টেজ, অ্যালবাম ও প্লেব্যাক-এই তিন মাধ্যমেই ব্যস্ত হতে থাকেন। এখনও এ তিন মাধ্যমেই সরব লিজা। বিশ্বের অনেক দেশের শোতে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। রমজানের আগেই আমেরিকায় দীর্ঘ সফর শেষ করে ফিরেছেন তিনি। আর এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কোরবানির ঈদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে। এদিকে চলতি মাসের ২৯ তারিখ কানাডার উদ্দেশ্যে উড়াল দেবেন এ গায়িকা। এক সপ্তাহের এ সফরে দুটি শোতে অংশ নেবেন তিনি। এ বিষয়ে লিজা বলেন, এই শোটি এরই মধ্যে পাকাপাকি হয়ে গেছে। সেখানে দুটি শোতে অংশ নেবো। এরপর ঈদের আগেই দেশে ফিরবো। কারণ ঈদের অনেক কাজ জমে আছে। কি ধরনের কাজ? লিজা বলেন, এরই মধ্যে বেশ কিছু চ্যানেলের ঈদের অনুষ্ঠানের শুটিং করেছি। কানাডা থেকে ফিরেও কিছু শুটিং করতে হবে। আর ঈদে কয়েকটি চ্যানেলে সরাসরি গান শোনাবো। সেই প্রস্তুতিটা শেষ করতে হবে। প্র্যাকটিসে অংশ নেবো। সব মিলিয়ে বলা চলে বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় কাটছে এখন। ঈদে কি কোনো গান করা হয়েছে? নিজ উদ্যোগে কোনো গান করিনি। কারণ, ভালো কম্পোজাররা সবাই খুব ব্যস্ত। পাশাপাশি আমার ব্যস্ততাও রয়েছে। শিডিউল মিলেনি। তাই ঠিক করেছি কোরবানির ঈদের পর নতুন একটি গান তৈরি করে ভিডিওসহ প্রকাশ করবো। আর এমনিতে ঈদের একটি অ্যালবামে কাজ করেছি। জিয়াউদ্দিন আলমের কথা ও আয়োজনে এ অ্যালবামে আমি ও নদী তিনটি করে গান গেয়েছি। এর বাইরে জয় শাহরিয়ার ভাইয়ার একটি অ্যালবামেও গান গেয়েছি। সর্বশেষ আরফিন রুমির সুর ও সংগীতে লিজার ‘পাগলি সুরাইয়া’ গানটি বেশ আলোচনায় আসে। সেই গানে লিজা নিজেই পারফর্ম করেন। গানটিতে নেচে গেয়ে দারুণ প্রশংসিত হন তিনি। এদিকে গত বছর প্রকাশ পায় লিজার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘পাগলী সুরাইয়া’। নতুন অ্যালবামের পরিকল্পনা আছে কি? লিজা বলেন, অনেক গান নিয়ে একক অ্যালবাম করার ইচ্ছে আপাতত নেই। কারণ, এখন এক অ্যালবামের সব গান সবাই শোনেন না। তাছাড়া সব গান একরকমভাবে প্রচারণাও সম্ভব হয় না। তাই ঠিক করেছি সিঙ্গেলই প্রকাশ করবো। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদের পর পরই এ গানটির কাজ শুরু করবো। বর্তমানে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? লিজা বলেন, খারাপ না। তবে খুব বেশি ভালোও না। কারণ, মাত্রই ডিজিটালি গান প্রকাশে আমরা অভ্যস্ত হচ্ছি। শ্রোতারাও নতুন এই বিষয়টিতে অভ্যস্ত হচ্ছেন ক্রমশ। তবে এটি খুব ইতিবাচক। বিশ্বের সব স্থানেই শ্রোতারা ডিজিটালি গান শুনছেন। এখান থেকে আয়েরও বিভিন্ন মাধ্যম তৈরি হচ্ছে শিল্পীদের জন্য। আমরা যত তাড়াতাড়ি বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে যাবো ততই ভালো। আমার বিশ্বাস অডিও ইন্ডাস্ট্রি সামনে ভালোর দিকে যাবে। গানের পাশাপাশি তো উপস্থাপনাও চলছে। কেমন লাগে উপস্থাপনা করতে? লিজা বলেন, সত্যি বলতে অনেক ভালো লাগে। আমি শখের বসেই উপস্থাপনা করছি। আর আমি তো সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোই কেবল উপস্থাপনা করছি। সেক্ষেত্রে বিষয়টি আমার জন্য আরো সহজ হয়ে গেছে। সব সময় সংগীতের মানুষদের সঙ্গে আরো বেশি যোগাযোগ হচ্ছে এর ফলে। তবে আমি গানের মানুষ, সব সময় গান নিয়েই থাকতে চাই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.